অ্যান্টিবায়োটিকের অতি ব্যবহার ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ২৮ মে ২০২১

মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার এবং সুপারবাগের কারণে ভারতের করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

মুম্বাইয়ের ১০টি হাসপাতালে একটি সমীক্ষা চালায় আইসিএমআর। এতে দেখা গেছে, অর্ধেকরও বেশি করোনা রোগী যারা দ্বিতীয়বার বা মারাত্মক ছত্রাকঘটিত রোগে সংক্রমিত হয়েছেন তাদের মৃত্যু হয়েছে।

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া, অ্যাসিনেটোব্যকটর বাওমানি এবং সিউডোমোনাস অ্যারুগিনোসা— এগুলো হল সাধারণ ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রমণ। যে সব করোণা রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে দীর্ঘ দিন থাকতে হচ্ছে, সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে তাদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।

গুরুগ্রামের নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অমিতাভ মালিক জানিয়েছেন, মানবদেহে কোনও না কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক আক্রমণ চালিয়েই যাচ্ছে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সেই ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে অনবরত।

কিন্তু দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে আপস করে যখন ডায়াবেটিস বা ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় স্টেরয়েড দেওয়া হয়, তখন সেটাই আমাদের শরীরকে এ ধরনের ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার জন্মভূমি বানিয়ে ফেলে এবং সেগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে।

চিকিৎসক মালিকের কথায়, ‘ডায়াবেটিস রয়েছে এমন ব্যক্তি যখন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে। ফলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। এই ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যথেচ্ছ স্টেরয়েড ব্যবহার না করাই ভাল।’

গত কয়েক সপ্তাহে ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ১২ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গছে আক্রান্তের সংখ্যা। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশে এই সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর পরেই রয়েছে দিল্লি। সেখানে ৬০০ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি সরকার।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

এমকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।