বিশ্বে একদিনে ৮৪৫৮ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৯৯১০৪
করোনাভাইরাসে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমেছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আট হাজার ৪৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও চার লাখ ৯৯ হাজার ১০৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ২৫ হাজার ৪৯৯ জন।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে ১০ হাজার ৯২ জনের মৃত্যু হয়। ওই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হন পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৫১৯ জন।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় পরিসংখ্যানভিত্তিক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ৫১ হাজার ২৭২ জনের। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৩ কোটি ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ১২২ জন। এর মধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৮ জন।
এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন চার কোটি ৩৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ পাঁচ হাজার ২৯৩ জন। আর সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৪১২ জন।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৬ লাখ ২৩ হাজার ৭২ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪৬ হাজার ৬৯০ জন। সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭২ জন।
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা দুই কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৮ জন মারা গেছেন। দেশটিতে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন দুই কোটি তিন লাখ ২৬ হাজার ৪০৮ জন।
তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৮ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৩৬৮ জন। আর ১৫ লাখ নয় হাজার ২০২ জন সুস্থ হয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।
এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।
ইএ/এমএস