প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের রিভিউ খারিজ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন খারিজ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগের রায়ই বহাল রইলো।
এর আগে আপিল বিভাগ শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে রায় দিয়েছিলেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন করেন।
আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিউ-উল হক, অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ জুন নওগাঁর ১০ প্রার্থীর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই ১০ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আপিল করেন। ২০১৫ সালের ৭ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল খারিজ করে দেন। পরে আপিল খারিজের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন প্রাথমিক মন্ত্রণালয়। আজ রিভিউ খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
২০১০ সালের ১১ এপ্রিল রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শুন্য পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উপজেলাভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তির ৩ নম্বর শর্তে উল্লেখ করা হয়। এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভিত্তি করে ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪২ হাজার ৬১১ জনকে নিয়োগের লক্ষ্যে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর এক পরিপত্রে ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের কথা জানান।
সে সময় প্রায় ১৪ হাজারের মতো নিয়োগও দেয় সরকার। এতে করে মেধা তালিকার প্রথমদিকে থেকেও অনেকে নিয়োগ বঞ্চিত হন। পরে ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। এরপর নিয়োগ দেয়া বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে হতাশ হয়ে পড়েন চাকরি প্রত্যাশি প্যানেলভুক্তরা।
পরে নিয়োগবঞ্চিত ও প্যানেলভুক্ত সদস্যদের মধ্য থেকে কয়েক হাজার জন ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন। এর মধ্যে নওগাঁর ১০ জনও হাইকোর্টে রিট করেন।
এফএইচ/এমজেড/এমএস