যুক্তরাজ্যে নির্বাচন

সম্ভাবনা বাড়ছে বরিসের, এগিয়ে ঋষি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৭ এএম, ২২ অক্টোবর ২০২২

যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বরিস জনসনের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। তবে এই মুহূর্তে কনজারভেটিভ এমপিদের সমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। প্রতিযোগিতায় রয়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মর্ডান্টও।

লিজ ট্রাসের উত্তরসূরী হতে আগ্রহী হওয়ার বিষয়ে সবার আগে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন মর্ডান্ট। এ পর্যন্ত চারজন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কাজ করেছেন ৪৯ বছর বয়সী এ নেতা। জনসনের প্রশাসনের কেলেঙ্কারি থেকেও যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) কনজারভেটিভ পার্টি প্রধান হওয়ার প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মর্ডান্ট। কয়েক মাস আগে দলীয় এমপিদের সমর্থনে পিছিয়ে পড়ায় প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ওই নির্বাচনে শেষপর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনাক।

jagonews24পেনি মর্ডান্ট। ছবি সংগৃহীত

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মর্ডান্ট প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেও এবার নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বরিস এবং তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী ঋষির মধ্যে। অর্থাৎ এবারও তৃতীয় অবস্থানে থেকেই বিদায় নিতে হতে পারে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বর্তমানে কনজারভেটিভদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আগাম নির্বাচনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের। তবে জনমত জরিপ বলছে, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে তাতে রীতিমতো ভরাডুবি হতো ক্ষমতাসীনদের। এ অবস্থায় কনজারভেটিভ পার্টি আশা করছে, নতুন নেতার হাত ধরেই হয়তো তাদের ভাগ্য ফিরবে।

কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী প্রধান হবেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে গত ছয় বছরের মধ্যে পাঁচজন দেশটির সরকারপ্রধানের চেয়ারে বসতে চলেছেন।

jagonews24ঋষি সুনাক। ছবি সংগৃহীত

অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্কের জেরে গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তার উত্তরসূরী ঘোষণা হবে এ সপ্তাহের মধ্যেই। তবে নতুন নিয়ম অনুসারে, কনজারভেটিভ পার্টি প্রধানের পদে প্রতিযোগিতার জন্য অন্তত ১০০ জন দলীয় এমপির সমর্থন থাকতে হবে। আর তা জোগাড় করতে হবে আগামী সোমবারের (২৪ অক্টোবর) মধ্যে।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানের রাজনৈতিক সম্পাদক টুইটারে জানিয়েছে, প্রথম নেতা হিসেবে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করে ফেলেছেন ৪২ বছর বয়সী ঋষি সুনাক।

বরিস জনসন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেননি। তবে ব্রিটিশ সরকারের কেন্দ্রীয় পাঁচ মন্ত্রী জনসনের প্রতি নিজেদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।

jagonews24বরিস জনসন। ছবি সংগৃহীত

রয়টার্সের জরিপ বলছে, প্রকাশ্যে নিজেদের মতামত জানানো এমপিদের হিসাবে এখন পর্যন্ত ঋষি সুনাকের পক্ষে ৭০ জন, বরিস জনসনের পক্ষে ৩৭ এবং মর্ডান্টের পক্ষে রয়েছেন ২০ জন।

কেলেঙ্কারির বোঝা মাথায় নিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার পর ক্ষমতায় ফিরতে পারা বরিস জনসনের জন্য বিশাল কিছুই হবে। তবে ইউগভের জরিপ বলছে, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে ৫২ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক অসন্তুষ্ট হবেন। প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মতামতের ভিত্তিতে চালানো হয়েছিল এ জরিপ।

কনজারভেটিভ এমপি জেমস ডুড্রিজ বলেছেন, বরিস জনসন তাকে জানিয়েছেন, তিনি ‘এর জন্য প্রস্তুত’ এবং সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ক্যারিবীয় দ্বীপে ছুটি কাটানো বাতিল করে শনিবারই যুক্তরাজ্যে ফিরবেন।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।