মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ১৬ থানায় এমপি লতিফের জিডি
মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নগরীর ১৬ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বঙ্গবন্ধুর ছবি বিতর্কে সমালোচিত সরকারি দলের সাংসদ এমএ লতিফ। জিডিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য জনসভায় লতিফকে হত্যার হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির প্রতিবাদে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর লালদীঘি মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় লতিফকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ওই জনসভায় মহিউদ্দিনে দেয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই এই জিডি করেছেন লতিফ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ই-মেইলে নগরীর ১৬ থানায় জিডির কপি পাঠিয়েছেন এম এ লতিফ।
১৬ থানায় জিডি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন নগর পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল জলিল মণ্ডল। তিনি সাংবাদিকদরে বলেন, এমপি সাহেবের জিডির কপি পেয়েছি। আমরা যাচাই-বাছাই করে একটা সিদ্ধান্ত নেব।
সাধারণ ডায়রিতে এম এ লতিফ লিখেছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর লালদিঘী ময়দানে নাগরিক মঞ্চ আয়োজিত এক সমাবেশে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে চলাফেরায় সতর্ক করেন। মহিউদ্দিন এ-ও বলেছেন, যুব সমাজ কিংবা ব্যক্তিবিশেষ আমাকে আক্রমণ করতে পারে। এতে আমার মৃত্যুও হতে পারে। আমার মৃত্যুর জন্য তাকে অর্থাৎ মহিউদ্দিন চৌধুরীকে আসামি করার জন্যও তিনি ঘোষণা দেন।
মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তার অনুসারীদের প্রকাশ্যে হুমকির কারণে লতিফ জীবননাশের আশঙ্কা করছেন বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদনে তিনি আরো বলেছেন, আমাকে প্রতিরোধসহ হত্যার নির্দেশনা দিয়ে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী তার অনুসারীদের আমার পেছনে লেলিয়ে দিয়ে হত্যার দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আমার জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছেন। মহিউদ্দিন ও তার অনুসারীদের অব্যাহত হুমকির মুখে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীন বোধ করছি।
এদিকে লতিফ ইস্যুতে চট্টগ্রাম আওয়ামীলী গে বিভক্তি প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে। বুধবার লতিফের পক্ষে অবস্থান নিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের সাত সাংসদ।
জীবন মুছা/এনএফ/পিআর