চীনে কোভিড ট্র্যাকিং অ্যাপ বন্ধ
করোনা মহামারি ঠেকাতে জিরো কোভিড নীতি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে চীন। সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন শহরে করোনা বিধিনিষেধ বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এরই জেরে কিছুটা শিথিলতা আনছে শি জিনপিংয়ের সরকার। এবার মহামারির সময় মানুষের গতিবিধি নজরে রাখা একটি ফোন অ্যাপ নিষ্ক্রিয় করলো চীন সরকার।
জাতীয় এই অ্যাপটি সোমবার রাত থেকে বন্ধ করার কথা ঘোষণা দিয়ে জানানো হয়। গত ৩ বছর ধরে চালু ছিল এটি। বেইজিং তার বিতর্কিত জিরো কোভিড নীতি যে বদলাচ্ছে এটি তার এখন পর্যন্ত সবশেষ পদক্ষেপ। এর আগে বেশ কয়েকটি শহর থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত ‘কমিউনিকেশনস আইটেনারি কার্ড’ নামে একটি অ্যাপ চালু ছিল এতোদিন। ২০২০ সালের গোড়ায় চালু হয় এটি। কোথাও কোনো প্রয়োজনে যেতে হলে আগে মোবাইল নম্বর দিয়ে তাতে লগ ইন করে দেখতে হতো, সেখানে করোনার ঝুঁকি কতটা। যাতে তারা সবুজ তীর চিহ্ন পায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকেই এ সিদ্ধান্ত জানার পর সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
তবে অনেকে বলছেন, এ পদক্ষেপে চীনা নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে তেমন বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ, চীনজুড়ে স্থানীয় ট্র্যাকিং অ্যাপগুলো এখনো চালু আছে।
সম্প্রতি করোনা বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে চীন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জিরো কোভিড নীতির বিরুদ্ধে একাট্টা দেশটির সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী বেইজিং, সাংহাই, উহান, চেংদু ও উরুমকিতে।
দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াং প্রদেশের একটি আবাসিক ভবনে সম্প্রতি আগুন লেগে ১০ জন নিহত হওয়ার জেরে বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। দেশটির বাণিজ্যিক হাব সাংহাইসহ বিভিন্ন শহরে চলে বিক্ষোভ। রাস্তায় নেমে আন্দোলনে যোগ দেন করোনা বিধিনিষেধ বিরোধীরা। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এতো বড় বিক্ষোভ হতে দেখা যায়নি দেশটিতে।
সূত্র: বিবিসি
এসএনআর/জিকেএস