পিলখানা হত্যাকণ্ডের দায় এড়ানো অসম্ভব
জাতিগত ভাবে পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানো অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তদানীন্ত বিডিআর এর শহীদ পরিবারবর্গের এক স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। শহীদ পরিবারবর্গ এবং দেশ উইআর কন্সারন্ড এই স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনও না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচার না হওয়ার অর্থ কি ? আমরা বিচার করতে চাই না, না কি করতে দিচ্ছি না? এ হত্যাকাণ্ডে তদন্তের জন্য তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও একটিরও সুস্পষ্ট তথ্য কারো সামনে প্রকাশ করা হয়নি।
জাতিগত ভাবে এর দায় আমরা কেউ এড়াতে পারি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করি প্রধানমন্ত্রী শহীদ পরিবারের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন।
স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের স্বজনদের পক্ষ থেকে বলা হয়, পিলখানায় বিডিআর এর ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড পৃতিবীর ইতিহাসে একটি বিরল মর্মান্তিক ঘটনা। বিগত দুই বিশ্বযুদ্ধে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসেও একদিনে এতজন সেনা কর্মকর্তা মৃত্যুবরণ করেননি।
এ হত্যা মামলার রায় দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হারিয়েছে এতজন অসাধারণ সেনা কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবার বর্গ হারিয়েছেন কারো স্বামী, কারো পিতা, কারো সন্তান কারো ভাই।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা আরো বলেন, সুপ্রিমকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠিত হলে হয়ত এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উন্মোচিত হতো।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানিয়ে তারা বলেন, এই দিনকে শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করা হোক। পাশাপাশি শহীদের স্বরণে দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণার আহ্বানও জানান তারা।
স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে শহীদ কর্নেল কুদরৎ ইলাহির বাবা হাবিবুর রহমান, শহীদ মেজর সালেহের স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপটেন আরিফ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর হায়দারসহ শহীদ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এসকেডি/এবিএস