কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নে ভিড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৬ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি:

৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি স্পেন। তবে অন্যবারের মতো এবারেও কলকাতা বইমেলাতে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন।

কলকাতার কাছেই সল্টলেকের ‘সেন্ট্রাল পার্ক’ বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। বইমেলার আয়োজক সংস্থা ‘বুক সেলারস অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ডে’র সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় নিজেও জানিয়েছেন স্পেনের পর বাংলাদেশকেই সবচেয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কার্যক্ষেত্রেও দেখা গেছে তাই।

আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হাত ধরে বই মেলার উদ্বোধন হলেও মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মেলার দরজা। এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো। আর প্রথম দিন বইয়ের খোঁজে এইসব প্যাভিলিয়নে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

আরও পড়ুন>৪৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করলেন মমতা

একদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র অন্যদিকে ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অভিন্ন। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, প্রয়াত কবি হুমায়ুন আহমেদ, আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস, শাহীন আখতার, শাহাদাত হোসেন, মহসিন উল হাকিম’এর মতো নতুন প্রজন্মের লেখকদের প্রতি টান রয়েছে।

সব মিলিয়ে ১৩ দিনের বই মেলার প্রথম দিনটা বেশ জমজমাট বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ও কলকাতা বইমেলা।

কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন বলেন, আমরা আসা করছি বাংলাদেশের বইমেলার মতো কলকাতা বইমেলার কয়টা দিন লেখক, সাহিত্যিকদের মিলন মেলায় পরিণত হবে। অনেক বই বিক্রি হবে। বিশেষ করে বেশি সংখ্যায় বাংলাদেশের লেখক, সাহিত্যিকদের বই বিক্রি হবে।

তবে প্রথম দিনেই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে নতুন সমস্যার মুখোমুখি হতে হলো বই বিক্রেতা ও ক্রেতাদের। বই পছন্দ হলেও কেবল অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে বই কিনতে পারেননি।

মেলায় আসা এক পাঠক আতাউরজ্জামান জানান, গত বছরই প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার রুপির বউ কিনেছিলেন। ডিজিটাল ব্যবস্থা থাকলে আমাদের সুবিধা হয়। গত বছরই একটা বাজে অভিজ্ঞ্যতা হয়েছিল।

কলকাতার থেকে বাংলাদেশের বইয়ের দাম বেশি হলেও কাগজের মান খুব ভালো। যদিও তার মতে বইয়ের কোনো মূল্য হয় না।

প্যাভিলিয়নের পরিসর নিয়ে অভিযোগ শোনা গেলো কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের গবেষক শিক্ষার্থী সাত্যকি মজুমদারের কণ্ঠে। তিনি জানান, গতবারের তুলনায় এবারের প্যাভিলিয়নের আয়তন অনেকটাই ছোট। কথা প্রকাশের থেকে বেগম রোকেয়ার ওপর একটি বই কিনেছেন তিনি।

এদিন প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসও এ কথা স্বীকার করে বলেন, এই সমস্যা একদিন মিটবে না। কয়েকটি দেশের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করার বিষয় আছে। ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ সম্মেলনেও এই বিষয়টির বিষয়ে আলোকপাত করা হচ্ছে। ডিজিটাল পেমেন্ট সহজ করার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছিলাম। এই বইমেলায় না হলেও আগামী বইমেলাতে এই সমস্যা মিটে যাবে এবং পাঠকরা এর সুবিধা পাবেন বলে আশা করছি।

নালন্দা পাবলিকেশনের মালিক রেদওয়ানুর রহমান জুয়েল জানান, শনি ও রোববার সরকারি ছুটির দিনে দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না। প্যাভিলিয়নের যে স্পেস আছে, সেখানে আগামী বছর আরও বেশি জায়গা বরাদ্দ করতে হবে। কারণ অনেক নতুন নতুন প্রকাশক সংস্থা আসছে।

এবার কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ দিবস পালিত হবে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন বাংলাদেশ থেকে যোগ দেবেন প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণের খ্যাতিমান শিল্পীরা।

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।