ত্রিপুরায় ভোটের জমজমাট প্রচারণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৫ এএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ত্রিপুরা প্রতিনিধি

বিধানসভা নির্বাচনের শেষ লগ্নে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার ঝড় বইছে। এরই মধ্যে রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

সোমবার ত্রিপুরায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, তার ভাইপো অভিষেকসহ আরও অনেকে। শাসকদল বিজেপির এক ঝাঁক তারকাও নেমেছেন মাঠে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দফায় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তোলেন তারা।

১৪ বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দলের প্রার্থী মিনা রাণী মজুমদারের সমর্থনে মিছিলে অংশ নেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।এসময় রাজনাথ সিং দেশ তথা রাজ্যের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে শাসকদলীয় প্রার্থী মিনা রাণী মজুমদারকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।

এর আগে, ৫০ কৈলাশহর বিধানসভা কেন্দ্রের আশ্রম স্কুল মাঠেও পৃথকভাবে একটি নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই কেন্দ্র থেকে এবছর লড়াই করছেন বিরোধী সিপিআইএমের হয়ে বিগত রাজ্য বিধানসভার সদস্য মবশ্বর আলী। বাম কংগ্রেস জোট হওয়ায় জোট শর্ত মেনে তাকে টিকিট না দেওয়ায় ক্ষোভের মুখে মাত্র ক’দিন আগেই শাসক বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে তাকেও বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

এদিকে, ভরদুপুরে রাজপথ মিছিল করে আলোড়ন সৃষ্টি করে তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিলের সামনে ছিলেন ঘাসফুলের প্রধান মমতা ব্যানার্জি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ত্রিপুরা ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ত্রিপুরা প্রদেশের সভাপতি পীযুষ কান্তি বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।

মিছিল শেষে রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে আয়োজিত সভায় মমতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে এ রাজ্যের মানুষের জন্য পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করা হবে। রাজ্যের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ব্যবস্থা, কৃষি ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, নারীদের ক্ষমতায়ন ও সামাজিক সুরক্ষা, প্রশাসনিক ক্ষেত্র, শিল্প-সংস্কৃতি এবং পর্যটনেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

পরে ঠিক একই জায়গায় দাঁড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, আমরা এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের ন্যায় এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে চাই। আর এটা শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষেই সম্ভব। তাই তাকে শক্তিশালী করতে আরও একবার ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের। তিনি আরও বলেন, ‘মোদী হ্যা তো মুমকিন হে।’

সামান্য দেরিতে হলেও বাম কংগ্রেস জোটের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ আরও বেশ ক’জন নেতা। তা ছাড়া তারকা প্রচারকদের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মো. আজহারউদ্দিনও নির্বাচনী কাজে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে কংগ্রেস।

এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।