টাকা থাকলেও বিল দেয়া যাচ্ছে না


প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

প্রকল্প পরিচালকের অনুপস্থিতির কারণে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ঠিকাদারদের ৩৮ কোটি টাকা পড়ে আছে অথচ টাকার অভাবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা কাজ করতে পারছেন না। যে কারণে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প সম্পন্ন করা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, ২০টি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের ৩৮ কোটি টাকার বিল মন্ত্রণালয় ছেড়ে দিলেও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বজলুর হকের দফতর থেকে অর্থের ছাড়পত্র না পাওয়ায় ঠিকাদাররা বিল হাতে পাননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার জাগো নিউজকে বলেন, ধার দেনা আর বাকিতে নির্মাণ উপকরণ কিনে এখন বিল পাচ্ছি না। বিল না পেলে পরবর্তী কাজ করবো কিভাবে? ২১ জানুয়ারি থেকে অসুস্থ্যতার কারণ দেখিয়ে পিডি অফিসে আসছেন না। বিকল্প কোনো কর্মকর্তার সাক্ষরে বিল প্রদানের জন্যে আমরা অনুরোধ জানালেও কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, ২১ জানুয়ারি প্রকল্প পরিচালক বজলুর হকের ব্রেইন স্ট্রোক করে এখন মৃত্যু পথের যাত্রী। তিনি আর কাজে যোগ দিতে পারবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। এ অবস্থায় জনস্বার্থে বিকল্প পিডি নিয়োগ দেয়া দরকার। তা না হলে ঠিকাদারদের সক্রিয় রাখা সম্ভব হবে না।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী অলিউল্লাহর মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ৩৭টি জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্প। প্রকল্পটি কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের ডিসেম্বরে। কাজ শেষ করার কথা ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে। অর্থের অভাবে সাড়ে ৫ বছরে কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। আগামী দেড় বছরে শেষ করতে হবে বাকি ৫৫ শতাংশ। যা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। সুতরাং প্রকল্প ব্যয় বাড়বে অনায়াসে।

আরএম/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।