পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
শরীয়তপুরে এবার পেঁয়াজের বাম্পর ফলন হয়েছে। এতে কৃষকদের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। গত বছর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং অতি বৃষ্টির কারণে কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এ বছর তা পুষিয়ে নিতে পারবেন।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ২৭৭৫ হেক্টর জমি পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৭৫ হেক্টর বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে সদর উপজেলায় ১০৮ হেক্টর, জাজিরা উপজেলায় ২৬২০ হেক্টর, নড়িয়া উপজেলায় ২৬০ হেক্টর, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ১৬৫ হেক্টর, ডামুড্যা উপজেলায় ৪৬ হেক্টর এবং গোসাইরহাট উপজেলায় ১৫১ হেক্টর জমিতে।
সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের সুবচনী গ্রামের পেঁয়াজ চাষি মো. সিরাজ বলেন, এ বছর আমি এক একর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছি। গত বছর পেঁয়াজ চাষ করতে গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেক লোকসান হয়েছে। এ বছর পেঁয়াজের ফলন ভাল হয়েছে। আশা করছি গত বছরের লোকসান এ বছর পুষিয়ে নিতে পারবো।
জাজিরা উপজেলার চৌকিদার কান্দি গ্রামের পেঁয়াজ চাষি জামাল চৌকিদার বলেন, এ বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু আমাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের মান অনেক ভাল হওয়া সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভারত থেকে অল্পমূল্যে নিম্নমানের পেঁয়াজ আমদানি করছে। অথচ আমাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ রফতানি হচ্ছে।
একই গ্রামের পেঁয়াজ চাষি খোকন মুন্সী বলেন, পেঁয়াজ চাষ করতে আমাদের অনেক খরচ হয়। এক একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে ৫০ হাজার টাকার উপর খরচ হয়ে যায়। অথচ সরকারের কাছ হতে আমরা কোন সুযোগ সুবিধা পায় না।
নড়িয়া উপজেলার পেঁয়াজ চাষি আবুল খায়ের বলেন, আমরা গরীব কৃষক। পেঁয়াজ চাষ করতে আমাদের অনেক খরচ হয়। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক থেকে কখনো কোন ঋন পাইনি। তাই কষ্ট করেই পেঁয়াজ চাষ করছি। যাতে একটু ভালোভাবে থাকতে পারি।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, এ বছর পেঁয়াজের আবাদ ভাল হয়েছে। গত বছর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বছর পেঁয়াজ চাষিরা তা পুষিয়ে নিতে পারবে।
ছগির হোসেন/এসএস/এমএস