তীব্র প্রতিবাদের মুখে সুর নরম করলেন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনার বিষয়ে কিছুটা নমনীয় হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বিষয়টি নিয়ে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে জনসাধারনের অভূতপূর্ব প্রতিবাদ ও পশ্চিমা মিত্রদের সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে সুর নরম করেছেন তিনি।

সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে ২ এপ্রিল ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে সংস্কার পরিকল্পনাটির অনুমোদন নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন নেতানিয়াহু। তবে সোমবার (২০ মার্চ) নেতানিয়াহু ও ধর্মীয়-জাতীয়তাবাদী জোট মিত্ররা জানায়, ২০ এপ্রিল সংসদ পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হবে না।

আরও পড়ুন>> ইসরায়েলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ

সমালোচক ও বিরোধীদের দাবি, প্রস্তাবিত সংস্কারের যে অংশগুলো এখনো অনুমোদনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে, তা ইসরায়েলের বিচারক নির্বাচন পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করবে। তবে নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছিলেন, তার লক্ষ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

এদিকে, আইনি পরিবর্তন নিয়ে অস্থির হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নতুন সরকার দেশটির বিচার ব্যবস্থা সংশোধন ও সুপ্রিম কোর্টকে ‘দুর্বল’ করার পরিকল্পনাটি উন্মোচন করার পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে বিরোধীরা।

আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতায় ‘বিরক্ত’ যুক্তরাষ্ট্র

বিরোধীদের দাবি, এসব সংস্কার বাস্তবায়িত হলে সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলো খুব সহজেই বাতিল করার ক্ষমতা পাবে নেসেট। অর্থাৎ, বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা পাবেন পার্লামেন্ট সদস্যরা।

সমালোচকরা বলছেন, নেতানিয়াহু সরকারের এ পরিকল্পনা বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলবে ও দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি এ সংস্কারের ফলে সংখ্যালঘুদের অধিকার নষ্ট হবে ও আদালত ব্যবস্থা তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। এমনকি, নতুন এ সংস্কার পরিকল্পনা ইসরায়েলের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স ব্যবস্থাকেও নষ্ট করে ফেলবে।

সমালোচকরা আরও দাবি করছেন, এ পরিকল্পনা শুধু যে বিচারব্যবস্থাকে দুর্বল করবে তা নয়। নাগরিক স্বাধীনতাকেও বিপন্ন করবে ও পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের পাশাপাশি দেশীয় অর্থনীতিকেও ক্ষতির মুখে ফেলবে।

আরও পড়ুন>> নাগরিকদের জন্য অস্ত্র আইন সহজ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

অন্যদিকে, বিতর্কিত এ আইনের সমর্থকদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টকে রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত রাখাটা আসলেই জরুরি। তারা চান, যত দ্রুত সম্ভব এ সংস্কার কার্যকর করা হোক।

রয়টার্স বলছে, নেতানিয়াহু সরকার নতুন সংস্কারের জন্য প্রথমেই সুপ্রিম কোর্টকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। মূলত তারপর থেকেই চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রতি সপ্তাহের শনিবার হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক সরকারের এ পরিকল্পনা বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছেন।

সূত্র: আল-জাজিরা

এসএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।