ত্রিপুরায় চৈত্রহাটে বাড়ছে ভিড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩২ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ত্রিপুরা প্রতিনিধি:

এই সময়ে যে কেউ দেখলে মনে করবে ইফতার উপলক্ষেই হয়তো ভিড় বেড়েছে বাজারে। কিন্তু না, এটি কোনো ইফতারের বাজার নয়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ইফতারের বাজার বলতে হাতেগোনা দু-একটি ছাড়া তেমন কিছুই নেই। কারণ রাজ্যটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮ দশমিক ৬ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বী।

স্বাভাবিক নিয়মে ত্রিপুরা রাজ্যে হিন্দু বাঙালি অংশের জনগণ বছরের এই সময়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষের ঠিক আগে চৈত্র মাসের প্রায় শেষ বেলায় ব্যবসায়ীরাও তাদের হিসাব-নিকাশ কাটছাঁট করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

এদিক থেকে রাজধানী আগরতলা ছাড়াও গ্রাম-পাহাড়ের বহু গরিব মানুষ দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকে চৈত্রমেলার। এই মেলায় বহু দামি জিনিসপত্রও অনেক কম মূল্যে বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। আর এই সুযোগটাকেই লুফে নেওয়ার চেষ্টা করে জনগণ।

রাজ্যটির বিভিন্ন প্রান্তে বহু বছর ধরেই চলে আসছে এই রীতি। সেই অনুযায়ী শহর আগরতলার বুকে দারুণভাবে প্রভাবও পড়ে আসছে এর। ব্যবসার মাত্রা যেমন দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়, ক্রেতার সংখ্যাও অন্য স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দশ গুণ পর্যন্ত বাড়ে।

আগরতলা নিগমের একটি কাউন্সিল বৈঠকে গত ক'দিন আগেই সিদ্ধান্ত হয় এ বছরও ৪ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হবে চৈত্রহাটে। তবে এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ফি আদায় করবে না নিগম কর্তৃপক্ষ। অনেক সময় বড় ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার মতো অভিযোগও উঠে। নিগম কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে কড়া হাতে তা মোকাবিলা করবে বলেও জানিয়ে দেয়।

সুযোগ বুঝে এ বছরও অন্যান্য বছরের মতো শত শত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবেদন দেয় ব্যবসা করার। নিগম কর্তৃপক্ষ তাদের মধ্য থেকেই মোট দুইটি নির্দিষ্ট সড়কের দুই পাশজুড়ে এ বছর মোট ৫৩৮ জন ব্যবসায়ীকে চৈত্রহাটে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়।

গত ৪ এপ্রিলের পর নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট ওই সড়কগুলোতে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসছে ব্যবসায়ীরা। টানা চারদিনে প্রায় সব ব্যবসায়ীই দারুন কেনাবেচা চালাচ্ছেন হাটে।

প্রতিদিন বেলা এগারোটার সঙ্গে সঙ্গে বসে যাচ্ছে চৈত্রহাট। চলছে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত। চৈত্রহাটে কেনাকাটা করতে আসা এক দম্পতি বলেন, বছরজুড়ে জিনিসপত্রের দাম বেশি থাকায় যা কিনতে পারিনি সেটাই কেনার চেষ্টা করছি।

শার্ট, প্যান্ট থেকে শুরু করে মেয়েদের জিন্স, টপ, শাড়িসহ শিশুদের রকমারি পোশাক, বাসনকোসন সবই মিলছে চৈত্রহাটে। তবে বিশেষ করে অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অংশের জনগণই এই চৈত্রহাটে আসছেন।

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।