আলিপুর জেল মিউজিয়ামে নজরুল কক্ষ খুলে দেওয়া হলো

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:২৫ এএম, ২৭ মে ২০২৩

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে (জেল) নজরুল কক্ষ উদ্বোধন করা হয়েছে।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নজরুল কক্ষ উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মেয়র ইন কাউন্সিল দেবাশীষ কুমার, স্থানীয় কাউন্সিলর দেবলীনা বোসহ আরও অনেকে।

কবি নজরুল ইসলাম ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় ব্রিটিশদের হাতে গ্রেফতার হয়ে আলিপুর সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। ১৯২৩ সালে ১৭ জানুয়ারি গ্রেফতার হয়ে ৮৭ দিন এখানে বন্দি ছিলেন তিনি। যে সেলে তাকে রাখা হয়েছিল সেই সেলের নাম দেওয়া হয়েছে নজরুল কক্ষ।

এই সেলে স্থাপন করা হয়েছে কবি নজরুলের একটি ভাস্কর্য। এছাড়াও রাখা হয়েছে তার সৃষ্টির নানা ঐতিহাসিক স্মারক। এবার সর্বসাধারণের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হলো আলিপুর জেলের নজরুল কক্ষ।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, নজরুল ভারত-বাংলাদেশের বিশেষ করে দুই বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি। তার জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমরা গর্বিত। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। শেষনিশ্বাস বাংলাদেশের মাটিতে ত্যাগ করেছেন। কিন্তু জন্মেছিলেন আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গে। তাই নজরুলকে আলাদা করা যায় না। তিনি দুই বাংলার শ্রেষ্ঠ কবি।

jagonews24

মেয়র ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, আমরা আমাদের হৃদয় থেকে রবীন্দ্র-নজরুলকে আলাদা করে ভাবি না। বাংলার সংস্কৃতি ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম’র মতো। রবীন্দ্র-নজরুল আমাদের কাছে ঠিক তেমন। এমন দিনে মহান কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা গর্ববোধ করছি।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যারা ব্রিটিশদের হাতে গ্রেফতার হতেন তাদের রাখার জন্য ১৯০৬ সালে তৈরি করা হয় কলকাতার আলিপুর জেল। পরবর্তীসময় আলিপুরের ১৫ একর জমির ওপর তৈরি হয় কলকাতা আলিপুর সেন্ট্রাল জেল বা আলিপুর সংশোধনাগার। ২০১৯ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি আলিপুর জেল মিউজিয়ামে রূপান্তরিত হয়। সোমবার ছাড়া অন্যান্য দিন দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই মিউজিয়াম সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকে।

স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান জানিয়ে ২০২২ সালে সবার জন্য খুলে দেওয়া হয় এই জেল মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইকারী বীরবিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসির মঞ্চ। রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, চিত্তরঞ্জনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের (বিপ্লবী) বন্দি থাকা গারদ।

এছাড়াও এখানে বন্দি ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু, পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ড. বিধান চন্দ্র রায়।

ডিডি/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।