খেরসনে বন্যায় তলিয়ে যাওয়া মাইনগুলো থেকে বড় বিপদের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫৫ পিএম, ০৮ জুন ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

নোভা কাখোভকা জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধ ধ্বংসের পর ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে ভেসে যাওয়া স্থল মাইনগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না ও এ থেকে আরও বড় বিপর্যয় ঘটার শঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা রেড ক্রস।

সংস্থাটি বলছে, যুদ্ধকবলিত এসব এলাকায় বিপুল সংখ্যক মাইন পুঁতে রাখা হয়েছিল। বন্যার পানিতে এসব এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এর ফলাফল ভয়ানক হতে পারে।

রেড ক্রসের কর্মকর্তা এরিক টোলেফসেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এসব মাইন যে শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে, তা নয়। বাইরে থেকে যারা সাহায্য করতে আসছেন, তাদের জন্যও এসব মাইন বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

এরিক আরও বলেন, আগে আমরা মাইনগুলোর অবস্থান জানতাম, কিন্তু এখন শুধু জানি, এগুলো পানির নিচে কোথাও এক জায়গায় রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা কিংবা বাইরে থেকে আসা সাহায্যকারীরা এগুলোর সংস্পর্শে এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সাউদার্ন কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া হুমেনিউক বলেন, রাশিয়া অধিকৃত এলাকা থেকে মাইনগুলো ভেসে গেছে, যেগুলো মহা-বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের খেরসনে বিস্ফোরণের ফলে কাখোভকায় বাঁধের একাংশ ভেঙে যায়। ফলে নিপ্রো নদীর পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে দেয়। এতে নদীর তীরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকার ৪২ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন।

ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৮ জুন) নিপ্রোর পানি আরও তিন ফুট বাড়বে ও আরও নতুন এলাকা প্লাবিত হবে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, নিপ্রোর পানিতে ৩০টি শহর ও গ্রাম ভেসেছে। এর মধ্যে ২০টি শহর ও গ্রাম ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে আছে, বাকি ১০টি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনের ১৭ হাজার ও রাশিয়ার ২৫ হাজার মানুষের সাহায্য দরকার। তাছাড়া শহরটির দুই হাজার বাড়ি এরই মধ্যে পানিতে ডুবে গেছে।

কারা এ বিস্ফোরণের পেছনে দায়ী, তা এখনো জানা যায়নি। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া এ কাজ করেছে। আর রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীই এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।