মিত্রদের ওপর ভরসা করতে পারছে না ইউক্রেন, নিজেরাই বানাবে অস্ত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৪ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

অস্ত্রশস্ত্রের জন্য পশ্চিমা মিত্রদের ওপর আর ভরসা করতে পারছে না ইউক্রেন। এ কারণে নিজেরাই সামরিক সরঞ্জাম তৈরি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ প্রতিরক্ষা সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন জেলেনস্কি। সেখানে তিনি বলেন, ইউক্রেন শুধু অংশীদারদের ওপর নির্ভর করতে চায় না। ইউক্রেন নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে প্রতিবেশীদেরও নিরাপত্তা দিতে পারবে।

আরও পড়ুন>> ইউক্রেনকে আর অস্ত্র দেবে না পোল্যান্ড, কারণ কী?

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে জেলেনস্কির বক্তব্যটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের এ পরিকল্পনা ‘পুরোপুরি বাস্তবসম্মত’।

তিনি বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রতিরক্ষা সংস্থাকে ইউক্রেনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই। আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা একসঙ্গে একটি নতুন ও শক্তিশালী অস্ত্রাগার তৈরি করতে পারি, যা বিশ্বের সব স্বাধীন জাতির জন্য নির্ভরযোগ্য সহায়তাকারী হবে।

আরও পড়ুন>> ইউক্রেন থেকে বিশ্বের নজর সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে শুরু থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে বিপুল সহায়তা পেয়ে আসছে ইউক্রেন। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেই সহায়তায় টান পড়েছে।

দ্বিপাক্ষিক বিরোধের জেরে ইউক্রেনকে আর অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পোল্যান্ড। কিয়েভকে আরও অর্থ সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব আটকে রয়েছে মার্কিন কংগ্রেসেও। এ নিয়ে স্পষ্টতই হতাশ ভলোদিমির জেলেনস্কি। এই বিতর্কের মধ্যে গত মঙ্গলবার মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের সভা একেবারে শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন>> টাকা না পেয়ে `গোসসা' করেছেন জেলেনস্কি, মার্কিন সিনেটে ভাষণ বাতিল

এর আগে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি এরমাক সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না পেলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেন হেরে যাওয়ার ‘বিশাল ঝুঁকি’ রয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।