জাতিসংঘের অভিমত

অভিবাসন নয়, নেদারল্যান্ডসে আবাসন সংকটের কারণ সরকারের দুর্বল নীতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

শরণার্থী কিংবা আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নয়, বরং সরকারের দুর্বল নীতির কারণেই নেদারল্যান্ডসে আবাসন সংকট তীব্র হয়েছে বলে মনে করে জাতিসংঘ। সম্প্রতি বৈশ্বিক সংস্থাটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এই মন্তব্য করেছেন।

ইউরোপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি নেদারল্যান্ডস। সেখানে বসবাস করে ১ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশটিতে ঘর রয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার।

আরও পড়ুন>> ইউরোপে পুনর্বাসিত হচ্ছে ৬১ হাজার শরণার্থী

সাম্প্রতিক ডাচ নির্বাচনে অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয়ও ছিল আশ্রয় এবং অভিবাসন। দেশটিতে আবাসন ঘাটতির জন্য অভিবাসীদের দায়ী করে আসছে ডানপন্থি দলগুলো; বিশেষ করে অতি ডানপন্থি পিভিভি দল। এবারের নির্বাচনে সবাইকে অবাক করে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ১৫০টি আসনের মধ্যে ৩৭টি জিতে নিয়েছে তারা।

তবে পর্যাপ্ত আবাসনের অধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টার বালাকৃষ্ণান রাজাগোপাল বলেছেন, কয়েক দশক আগে নেওয়া ডাচ সরকারের দুর্বল নীতির কারণেই নেদারল্যান্ডসে আবাসন সংকট বেড়েছে।

আরও পড়ুন>> ‘অসৎ’ অভিবাসীদের রাখবে না সুইডেন

গত বৃহস্পতিবার দ্য হেগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই আবাসন সংকট অভিবাসন ও শরণার্থীদের কারণে নয়, বরং আবাসনকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি ও সুরক্ষা দিতে সরকারের ব্যর্থতার জন্য হয়েছে৷

ইদানিং নেদারল্যান্ডসে বসবাসের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে বাসা খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ফলে, দেশটিতে উন্নত জীবনের সন্ধানে আসা বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী থেকে আশ্রয়প্রার্থী, সবাইকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীদের কোন দেশ কত টাকা দেয়?

গত নভেম্বরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডসে একটি বাড়ির গড় দাম ৪ লাখ ৩০ হাজার ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে চার কোটি টাকারও বেশি।

তবে এই সংকট থেকে উত্তরণের কোনো সুপারিশ এখনো তুলে ধরেননি জাতিসংঘ কর্মকর্তা বালাকৃষ্ণান রাজাগোপাল। তিনি জানিয়েছেন, আগামী মার্চে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সময় একটি বিশদ প্রতিবেদন এবং সুপারিশমালা উপস্থাপন করবেন তিনি।

সূত্র: এএফপি, ইনফোমাইগ্রেন্টস
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।