১ দিনে ১৫৫ বার কেঁপেছে জাপান, ৮ জনের প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ এএম, ০২ জানুয়ারি ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত

জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশুর ইশিকাওয়া জেলায় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রভাবে অন্তত আটজন মারা গেছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। এছাড়া ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ। উদ্ধারকাজ চলছে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে দেশটি সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, জাপানের আবহাওয়া সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে ‘২০২৪ নোটো পেনিনসুলা ভূমিকম্প’ নামে নামকরণ করেছে। মধ্য জাপান ও আশেপাশের অঞ্চলে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের আঘাতে ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলে অন্তত আটজন মারা গেছে।

সোমবার (১ জানুয়ারি) জাপানের উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় এলাকায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর অন্তত ১৫৫টি আফটারশকে কেঁপে ওঠে দেশটি। এসব কম্পনের ফলে সেখানে সুনামিও আঘাত হানে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, নতুন বছরে আঘাত হানা ভূমিকম্পে অসংখ্য হতাহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকার এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সেলফ ডিফেন্স বাহিনী পাঠিয়েছে। অন্তত ১ হাজার উদ্ধাকর্মী কাজ করছেন। উদ্ধারকাজ ও পুনর্বাসনে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গত মাসের শুরুর দিকে ফিলিপাইনে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে জাপানের হাচিজোজিমা দ্বীপে ৪০ সেন্টিমিটার বা ১ দশমিক ৩ ফুট উচ্চার সুনামি ঢেউ আঘাত হানে। দ্বীপটি জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে।

এছাড়া গত আগস্টে জাপানের হোক্কাইদো শহরে ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৬ কিলোমিটার গভীরে।

২০১১ সালের শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে জাপানের ফুকুশিমা প্রিফেকচারের দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পরমাণু দুর্ঘটনা ছিল এই দাইচি পরামাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।