স্থানীয় ৮ ব্যাংকে ডলার লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে ইরাক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত

আটটি স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের উপর মার্কিন ডলার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক। জালিয়াতি, অর্থপাচার ও মার্কিন মুদ্রার অন্যান্য অবৈধ ব্যবহার কমানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরাক সরকার।

মার্কিন ট্রেজারি কর্মকর্তার ইরাক সফরের কয়েকদিন পরেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করলো ইরাক। অনেকের দাবি, এই নিষেধাজ্ঞা প্রতিবেশী দেশ ইরানে মুদ্রা পাচার প্রতিরোধে মার্কিন প্রচেষ্টার ফল।

ব্যাংকগুলোকে ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলার লেনদেন করা থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরাক সরকারের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ ব্যাংকগুলোর একটি তালিকা করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে- আহসুর ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট, ইরাক ইনভেসমেন্ট ব্যাংক, ইরাক ইউনিয়ন ব্যাংক, কুর্দিস্তান ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, আল হুদা ব্যাংক, আল জানূব ইসলামিক ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্স, আরাবিয়া ইসলামিক ব্যাংক ও হাম্মুরাবি কমার্শিয়াল ব্যাংক।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ডলার লেনদেনে নিষিদ্ধ ব্যাংকগুলো তাদের অন্যান্য সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। তাছাড়া ডলার বাদে অন্যান্য যে কোনো মুদ্রা লেনদেন করতে পারবে তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ট্রেজারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা ইরাকি আর্থিক ব্যবস্থাকে অপব্যবহারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ইরাকি আর্থিক ব্যবস্থাকে অপব্যবহারের হাত থেকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা জানাচ্ছি। এর ফলে ইরাকের বৈধ ব্যাংকগুলো লাভবান হবে।

২০২৩ সালের জুলাই মাসে ইরাকি ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ইরানে ডলার পাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অংশ হিসেবে ১৪টি ব্যাংককে ডলার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ইরাকি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ওয়াশিংটনের অনুরোধের পরেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে আরও আটটি ব্যাংকের উপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ইউএস ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তা ব্রায়ান নেলসন, গত সপ্তাহে বাগদাদে শীর্ষ ইরাকি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কীভাবে ইরাকি ও আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থাকে অপরাধী, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়ের দেশের মিত্র ইরাক, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। ইরাক যাতে তেলের আয় ও অর্থের প্রবাহ দ্বারা প্রভাবিত না হয়, তা নিশ্চিতে সর্বদা সতর্ক থাকে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: রয়টার্স

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।