বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা

প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার সোনাসহ গ্রেফতার ৪

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, ৩০ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় বিপুল পরিমাণে সোনা পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরেছেন চার ভারতীয় নাগরিক। এর মধ্যে তিনজন নারী এবং একজন পুরুষ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার বর্ডার ফারি গেদের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩২ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা ওই চারজনকে গ্রেফতার করে।

গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) গোয়েন্দাদের কাছ থেকে গোপন সূত্রে নদীয়া জেলার গেদে-শিয়ালদহ লোকাল ট্রেনে চোরাই সোনা পাচার করার কথা জানতে পারে বিএসএফ। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্ডার গার্ড গেদের জওয়ানরা গেদে থেকে শিয়ালদহগামী লোকাল ট্রেনে বিশেষ অভিযান চালায়।

সাদা পোশাকে বিএসএফের জওয়ানরা ট্রেনে উঠে দেখেন সন্দেহজনক তিন নারী ট্রেনের কামরায় ভেতরে বসে আছেন। তাদেরকে দেখে বিএসএফের জওয়ানরা কিছু বুঝতে না দিয়ে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন।

গেদে-শিয়ালদহগামী ট্রেনটি দুপুর আড়াইটার দিকে ময়ুরহাট হল্ট রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়ালে সন্দেহভাজন নারীরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। তাদের সঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরাও ট্রেন থেকে নেমে তাদের অনুসরণ করতে থাকে।

ওই তিন নারী ময়ুরহাট হল্ট স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে একটি সাদা রঙের ব্যাগ দিতে যাওয়ার সময় তাদের ধরে ফেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর বাহিনীর সদস্যরা।

তিন নারী এবং তাদের এক পুরুষ সঙ্গীকে বিএসএফ আটক করে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে। সেখানে ব্যাগটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি চালাতেই সেখান থেকে ২০টি সোনার বিস্কুটসহ আরও বেশ কিছু সোনার জিনিস জব্দ করে। জব্দকৃত সোনার মোট ওজন ৭ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৭০ লাখ রুপি বা ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

অভিযুক্তরা সবাই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। গ্রেফতার হওয়া তিন নারী হলেন, অপর্ণা বিশ্বাস, আসীমা মুহুরী এবং মিতালী পাল। এদের সবার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গেদের মাঝের পাড়া। এছাড়া গ্রেফতার হওয়া বাকি একজনের নাম সৌমেন বিশ্বাস। তিনি নদীয়া জেলার চাঁদপুর গ্ৰামের বিজয়পুর-উত্তরের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: 

জিজ্ঞাসাবাদে ৩ অভিযুক্ত নারী জানান, তারা একই গ্রামের এক অজ্ঞাত ব্যক্তির জন্য কাজ করত। এই সোনা সৌমেন বিশ্বাসের হাতে তুলে দেওয়ার পর তারা প্রত্যেকে এক হাজার রুপি করে পেতেন। কিন্তু সোনার চালান নিয়ে ময়ূরহাট রেল স্টেশনে পৌঁছালে বিএসএফ সোনাসহ তাদের আটক করে। অভিযুক্তদের পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলকাতা জোনাল ইউনিটের রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ডিডি/টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।