সেপটিক ট্যাংকে মাংসের টুকরো পাওয়ার পর যা বললেন ডিবিপ্রধান

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৪৪ পিএম, ২৮ মে ২০২৪

কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক ভেঙে সেখান থেকে তিন থেকে চার কেজি মাংসের টুকরো উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। এই ফ্ল্যাটেই খুন করা হয় বাংলাদেশি এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে। তবে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো তার কি না সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে কলকাতার নিউটাউনের একটি পাঁচ তারকা হোটেলের সামনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।

আরও পড়ুন

এ সময় তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে আসার পরেই ফ্ল্যাটটি পরিদর্শন করেছি। এরপর আমরা সিআইডিকে রিকোয়েস্ট করি সেখানের স্যুয়ারেজ লাইন দেখার দরকার আছে। সিআইডি খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া ঘাতকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য দিয়ে আমরা সিআইডিকে সহযোগিতা করছি।

হারুন বলেন, সেপটিক ট্যাংক থেকে বেশ কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। এই মাংসগুলোকে ফরেনসিকের জন্য রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ডিএনএ টেস্টও করা হবে। তারপরে বলা যাবে এগুলো মাননীয় সংসদ সদস্যের কি না।

আরও পড়ুন

তবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কত দিন লাগতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিবিপ্রধান বলেন, যেহেতু হত্যাকাণ্ডটি এ দেশে সংঘটিত হয়েছে এবং একটা হত্যাকাণ্ডের পরে এবং একটা মামলার তদন্ত কাজের জন্য বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনা করে সব কিছু করতে হয়। ঘাতকরা আমাদের কাছে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা বিভিন্ন জায়গায় যাবো।

তিনি বলেন, একটা মামলার তদন্ত করতে গেলে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য যেমন দরকার তেমনি একটি শরীরের পুরো অংশ না হলেও খণ্ডিত কিছু অংশ উদ্ধার হওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ফলে সেই অনুযায়ী কাজ করে সিআইডি সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংস উদ্ধার করেছে। কিন্তু ফরেনসিক করা হলেই বোঝা যাবে আসলে মাংস কার।

এরই মধ্যে বিষয়টি এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনকে জানানো হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তিনিও কলকাতায় আসতে পারেন-যোগ করেন হারুন।

আরও পড়ুন

খালে উদ্ধার অভিযান চলবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হ্যাঁ ওটা চলবে। সব তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করেই আমরা বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছি। তদন্তে আরও অগ্রগতি আনতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মাংসের টুকরোর সঙ্গে চুল এবং হাতের নখ উদ্ধার হয়েছে বলে যে খবর পাওয়া গেছে তা নিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ‌‘আসলে তদন্তের জন্য এক টুকরো মাংস হলেই হয়। আগে ফরেন্সিক পরীক্ষা হোক, তারপরে ডিএনএ হোক। এরপর বলা যাবে এটি কার দেহের অংশ।

এমএসএম/ডিডি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।