হাইকোর্ট

বিমানবন্দরে লাগেজ চুরি-ভোগান্তির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ কেন নয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ফাইল ছবি

বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ চুরি, হারানো, ড্যামেজ হওয়ার ঘটনাগুলো পুনরাবৃত্তি কেন হচ্ছে তা তদন্তে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে করা এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কাজী মো. ওমর সামদানী ও রওশন আলী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব ও নূর মুহাম্মদ আজমী।

রুলে যাত্রীদের লাগেজের সেফটি এবং সিকিউরিটি নিশ্চিতের জন্য জরুরিভিত্তিতে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ-ব্যাগেজের ক্ষয়ক্ষতি, চুরি ঠেকাতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা, অবহেলা ও নিস্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও ট্রানজিট অপারেশনের সময় যাত্রীদের লাগেজ-ব্যাগেজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ-ব্যাগেজের ক্ষয়ক্ষতি, চুরির অভিযোগ তদন্তে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে প্রশ্নেও রুল দিয়েছেন আদালত।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জন বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত বছর ১৬ ডিসেম্বর থাই এয়ারওয়েজের বিমানে ইন্দোনেশিয়া থেকে ঢাকায় ফেরেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল। তার সঙ্গে ছিল সাত কেজি ওজনের একটি ব্যাগ। ইমিগ্রেশন পার হয়ে ব্যাগ সংগ্রহ করার পর তিনি দেখেন ব্যাগটি ছেঁড়া এবং ভেতরের বেশকিছু জিনিস খোয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রথমে তিনি থাই এয়ারওয়েজের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেন। প্রতিকার না পেয়ে বিমানবন্দরের ‘লস্ট এন্ড ফাউন্ড’ দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু ওই দপ্তর থেকে তাকে বলা হয়, বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ দিতে। তবে ভুক্তভোগী আইনজীবী লাগেজ-ব্যাগেজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠান। সে নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি গত ১৫ জানুয়ারি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন।

এফএইচ/এমএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।