৫ আগস্ট চানখাঁরপুলে একাই ২৪ রাউন্ড গুলি করেন কনস্টেবল নাসিরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪০ এএম, ১২ মার্চ ২০২৫

কনস্টেবল নাসির ৫ আগস্ট চানখাঁরপুলে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর আগে একটি চাইনিজ রাইফেল ও ৪০ রাউন্ড গুলি বরাদ্ধ নিয়েছিলেন। এরমধ্যে ১৬ রাউন্ড গুলি ফেরত দেন। বাকি গুলি নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর চালিয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজি এমএইচ তামিম।

এ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ রাষ্ট্রপক্ষের কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর। এরপর এ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন আদালত।

গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ ও ৭ জনকে হত্যা এবং অসংখ্য ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু ও আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদালতে আজ শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজি এম এইচ তামিম। এসময় প্রসিকিউটর ওমর ফারুক, প্রসিকিউটর তারেক আব্দুল্লাহ ও মঈনুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর এমএইচ তামিম জানান, রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ ও ৭ জনকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল নাসিরুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট চানখাঁরপুলে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর আগে একটি চাইনিজ রাইফেল ও ৪০ রাউন্ড গুলি পেয়েছিলেন। তার মধ্যে ১৬ রাউন্ড গুলি ফেরত দেন। বাকি গুলি ছাত্র-জনতার ওপর চালিয়েছেন।

এর আগে সকালে ট্রাইব্যুনালে কনস্টেবল নাসিরুলকে হাজির করা হয়। তাকে এ অভিযোগে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার নাসিরুলকে গ্রেফতার করে আদালতে আনা হয়েছে।

এরও আগে, একই ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল সুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় শুনানি হয়েছিল।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, কনস্টেবল সুজন ৫ আগস্ট সকালে চানখাঁরপুলে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালান। এসময় তাকে উৎফুল্ল দেখা গেছে। ট্রাইব্যুনালে অভিযোগেও এসব বিষয় প্রসিকিউশন টিম তুলে ধরেন। ওই দিনের ঘটনার ফুটেজ দেখে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরও গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছেন প্রসিকিউটররা।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে বোরহানউদ্দিন কলেজের পাশে সুজন হোসেনকে কখনো দাঁড়িয়ে এবং কখনো শুয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে দেখা যায়।

এফএইচ/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।