আমি বাঁচার জন্য অস্ত্র রাখি: সুব্রত বাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৭ পিএম, ২৮ মে ২০২৫
আটদিনের রিমান্ডে সুব্রত বাইন/ছবি-মিনহাজুল ইসলাম

হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীর (৬১) আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া ছয়দিনের রিমান্ডে যাওয়া তিন আসামি হলেন- আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৩), এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)।

এদিন বিকেল ৩টা ৪৭ মিনিটে তাদের আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়। এরপর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তখন কাঠগড়ার রডের সঙ্গে তার হাত হ্যান্ডকাফ দিয়ে বাঁধা ছিল।

এ সময় তিনি বলেন, আমি বাঁচার জন্য অস্ত্র রাখি। আমি যদি বলি অস্ত্র রাখি না, তাহলে এটা মিথ্যা হবে। লিয়াকত, মুরগি মিলন এরা আমার শত্রু ছিল। এদের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমি এই জায়গায় এসেছি।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, ২০২২ সালের রমজান মাসের ২৬ তারিখ ভারত থেকে আমাকে বাংলাদেশে ঢোকানো হয়। এরপর আমাকে আড়াই বছর আয়নাঘরে রাখা হয়েছে। আয়নাঘরে হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে ৫ আগস্ট রাত ৩টার সময় আমাকে চোখ বেঁধে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ছেড়ে দেয়।

তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সাংবাদিকরা যেন তদন্ত করে সত্যিটা লেখেন। আমি যা সেটাই যেন লেখেন। সত্যি কথা লিখবেন। হলুদ সাংবাদিক হবেন না। ৮৯ সাল থেকে আমার বিরুদ্ধে লিখছেন। আপনারা কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কিছু লিখবেন না। সাংবাদিকদের বোঝা উচিত, তারা কী লিখছেন, তার প্রভাবে কী হতে পারে। আমার পরিবার আছে। ৬১ বছর বয়স হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এই আধুনিক যুগে যদি আমাকে চাঁদাবাজ বানান? এই আধুনিক যুগে যদি চাঁদাবাজ না ধরতে পারেন, তাহলে কী লাভ সাংবাদিকতা করে। তদন্ত করেন, কে আমার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করলো। আপনারা নতুন প্রজন্মের সাংবাদিক। দোয়া করি আপনাদের জন্য।

পরে এজলাসে বিচারক এলে কথা বলা বন্ধ করেন সুব্রত বাইন। এরপর শুনানি শেষে হাতিরঝিল থানার অস্ত্র মামলায় তার আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

এমআইএন/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।