চানখাঁরপুলে ৬ হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক ১৫ ডিসেম্বর
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য ও আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে আগামী ১৫ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই দিন ঠিক করেন। বিচারিক প্যানেলের অন্য সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ।
ট্রাইব্যুনালে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলামসহ অন্যরা। এসময় আসামির আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এদিন মামলার আসামি শাহবাগ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেনের পক্ষে সাফাই সাক্ষীর জবানবন্দি পেশ করেন জুয়েল মাহমুদ। তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ মিনারে অংশ নেন বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে পুলিশ পরিদর্শক আরশাদ হোসেনের সঙ্গে তার দেখা হয়। এছাড়া সরকার পতনের খবরও জানানো হয় তাকে।
এর আগে, গত ৮ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে আসামি আরশাদ হোসেন নিজেই সাফাই সাক্ষী পেশ করেন। জবানবন্দিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে নিজের সরকারি দায়িত্ব পালন ও চানখাঁরপুলে কোনো ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেননি বলে জানান তিনি।
এছাড়া, ওই দিন সাফাই সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন মো. সোলাইমান। আসামিপক্ষে মোট তিনজন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের জেরা শেষে যুক্তিতর্কের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন করবেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশন।
এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর আরশাদ হোসেনের পক্ষে সাফাই সাক্ষীর আবেদন করেন আইনজীবী অভি। পরে তার আবেদন মঞ্জুর করে আসামিপক্ষের তিনজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৭ নভেম্বর মামলার আসামি ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মূল তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. মনিরুল ইসলামের জেরা শেষ করেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এ মামলার গ্রেফতার চার আসামি হলেন শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।
পলাতক আসামিরা হলেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল। চলতি বছরের ১৪ জুলাই আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এফএইচ/এমএমকে/জেআইএম