ত্রাণ চাওয়ায় বৃদ্ধ পেটানো চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারে লিগ্যাল নোটিশ
জরুরি সেবার হটলাইন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চাওয়ায় নাটোরের লালপুরে এক বৃদ্ধ কৃষককে পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি)-সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যবস্থা না নেয়া হলে এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে।
অনলাইন নিউজপোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বুধবার (১৫ এপ্রিল ) বিকেলে ইমেইলযোগে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে আর খান রবিন এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি নিজে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি জাগোনিউজকে নিশ্চিত করেন।
নোটিশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপি, নাটোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) এবং লালপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, সরকার যেহেতু হটলাইন দিয়েছেন গরিবদের সহযোগিতা করার জন্য। সেখান থেকে একজন জনপ্রতিনিধিকে ফোন দেয়া হলে তিনি কেন তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করবেন? জনপ্রতিনিধি হয়ে একজন সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন করা ফৌজদারি অপরাধ।
এ আইনজীবী আরও বলেন, এলাকার চেয়ারম্যান হিসেবে তার দায়িত্ব ওইসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু তিনি কিছু তো দেননি বরং ত্রাণ চাওয়ায় একজন নিরীহ মানুষের সঙ্গে বর্বর আচরণ করেছেন, যেটা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। তাই জনস্বার্থে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি।
জানা যায়, করোনার প্রভাবে কর্ম হারিয়ে কষ্টে দিন কাটছিল অর্জনপুর-বরমহাটি ইউনিয়নের কৃষক শহিদুল ইসলামের। লোকমুখে শুনে তিনি ১২ এপ্রিল তার কষ্টের কথা জানিয়ে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চান। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার কৃষক শহিদুল ইসলামকে ইউনিয়ন পরিষদে চৌকিদারকে দিয়ে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তিকে ত্রাণসামগ্রী দেয়া হয়েছে।
এফএইচ/এইচএ/এমএস