ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকা হাওয়া : নির্বাহী কর্মকর্তাসহ চারজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ১২ মে ২০২০

রাজধানীর পুরান ঢাকায় বিভিন্ন শাখা থেকে উত্তোলন করা ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকার একটি বস্তা গাড়ি থেকে খোয়া যাওয়ার ব্যাংকটির একজন নির্বাহী কর্মকর্তাসহ চারজনকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ মে) তাদের চারজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনায় কোতয়ালী থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার উপ-পরিদর্শক শাওন কুমার বিশ্বাস। অপরদিকে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- ন্যাশনাল ব্যাংক দিলকুশা শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ডন (৪৩), গাড়িচালক আব্দুল লতিফ (৫৫), দুজন নিরাপত্তাকর্মী শাহ আলম (৫০) ও ইউনুস আলী (৫০)।

কোতয়ালী থানার আদালতের সাধারণ কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার (১০ মে) রাজধানীর পুরান ঢাকায় বিভিন্ন শাখা থেকে উত্তোলন করা ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকার একটি বস্তা গাড়ি থেকে খোয়া যায়। ওইদিনই তাদের চারজনকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এরপর দিলকুশা শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুর রহমান বাদী একটি মামলা করেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা দুজন সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীকে নিয়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা তোলেন। ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা সংগ্রহ করে মতিঝিলে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের দিকে গাড়িটি রওনা হয়। পুরান ঢাকার বাবুবাজারে পৌঁছানোর পরই গাড়িতে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা চিৎকার করে বলেন, টাকার একটি বস্তা পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে ৮০ লাখ টাকা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি ন্যাশনাল ব্যাংক প্রধান কার্যালয় জানার পর অভিযোগ আসে কোতোয়ালী থানায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গাড়িতে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তাসহ চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। আটকদের ঘটনার আদ্যোপান্ত সম্পর্কে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) নূর আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওই ঘটনায় রাতেই ন্যাশনাল ব্যাংকের দিলকুশা শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আটক চারজনকে আসামি না করলেও সন্দেহভাজন হিসেবে দেখানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি। সন্দেহভাজন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে এখনো ঘটনার বিশেষ কোনো কুলকিনারা হয়নি। ঘটনা রহস্যজনক মনে হচ্ছে।

জেএ/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।