করোনার ভুয়া রিপোর্ট : জেকেজির নির্বাহী শফিকুলের দায় স্বীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথ কেয়ারের নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন।

রোববার (২৬ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। আদালতের সূত্র মতে, শনিবার দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তেজগাঁও থানার প্রতারণার মামলায় তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার (২২ জুলাই) শফিকুলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তখন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য শফিকুলকে তিনদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। শুনানি শেষ ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অপরদিকে জেকেজি হেলথ কেয়ারের ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন নেছা রিমাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী বলেন, শফিকুল জেকেজির নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর রিমা মামলার গ্রেফতার আসামি সাঈদের স্ত্রী। তার নামে জেকেজির ট্রেড লাইন্সেস করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হুমায়ুন কবির এ চক্রের মূলহোতা। তানজিনা পাটোয়ারী তার স্ত্রী। তাদের নেতৃত্বে চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করত এবং ভুয়া রিপোর্ট দিত। চক্রটি জনপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিত।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গ্রেফতাররা করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেন। তবে নমুনা সংগ্রহের পর তা আর পরীক্ষা করা হয় না। তাদের নেই কোনো ল্যাব। কম্পিউটারে ফলাফল লিখে ই-মেইলে তা রোগীর কাছে পাঠিয়ে দিতেন। এভাবে ইতোমধ্যে ৩৭ জনের ভুয়া কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট জানিয়ে দেন তারা।

নমুনা সংগ্রহের সময় রোগীর বাহ্যিক উপসর্গ দেখে একটা ধারণা থেকে ফলাফল তৈরি করতেন তারা। করোনার বাহ্যিক উপসর্গ দেখা দিলে, সেক্ষেত্রে তার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ উল্লেখ করা হতো। কোনো উপসর্গ না দেখা দিলে তার রিপোর্টে নেগেটিভ উল্লেখ করা হতো।

জেএ/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।