ফারুক হত্যা: টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র মুক্তির জামিন আটকে গেলো

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২২
প্রতীকী ছবি

আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মাহমুদ। অন্যদিকে আপিল আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এর আগে বুধবার (২৭ এপ্রিল) সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন মঞ্জুর করেছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এরপর জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। যেটি আজ শুনানির জন্য ওঠে।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ মুক্তিকে জামিন দেন। পরে মামলায় রায় ঘোষণার দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তর্বর্তী জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মুক্তি।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে কলেজপাড়া এলাকায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশ রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে গ্রেফতার করে।

আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আত্মগোপনে চলে যান।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে আমানুর রহমান খান, তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর কারাভোগের তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। তার অপর দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন।

এফএইচ/জেডএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।