জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘থ্যালাসেমিয়ার তথ্য’ উল্লেখ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ২৫ মে ২০২২

সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে দেশে ব্যাপকহারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। এজন্য থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের তথ্য তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে যুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৫ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান। লিগ্যাল নোটিশে মন্ত্রিপরিষদের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও বাংলাদেশ ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশের পরে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে যথাসময়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

লিগ্যাল নোটিশে বলা বলা হয়েছে, একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক অন্য থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করলে তাদের সন্তান এই রোগে আক্রান্ত হওয়া ঝুঁকি থাকবে। দুইজন থ্যালাসেমিয়া বাহকের মধ্যে যদি বিয়ে হয়েই যায় বা স্বামী-স্ত্রী দুইজনই থ্যালাসেমিয়া বহন করে তবে সন্তান গর্ভে আসার ৮ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে কোরিওনিক ভিলাস স্যাম্পল বা এমনিওসেন্টেসিস করে বাচ্চার অবস্থা জানা সম্ভব।

জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘থ্যালাসেমিয়ার তথ্য’ উল্লেখ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

তাই গর্ভস্থ সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্ম না হয়। গর্ভস্থ সন্তান থ্যালাসেমিয়া বাহক হলে স্বাভাবিক জন্মদানে সমস্যা নেই।

এ জন্যে বিয়ের আগেই বর এবং কনের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেককে জানতে হবে তারা থ্যালাসেমিয়া বাহক কি-না। দুজন থ্যালাসেমিয়া বাহকের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করা গেলেই থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

থ্যালাসেমিয়া প্রধানত দুই প্রকার। আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বিটা থ্যালাসেমিয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আলফা থ্যালাসেমিয়া তীব্র হয় না। অনেক সময় উপসর্গও বোঝা যায় না, রোগী স্বাভাবিক জীবন যাপন করে। তবে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই বিটা থ্যালাসেমিয়ায় ভুগে থাকে। এই থ্যালাসেমিয়া আবার দুই রকম হতে পারে। যারা বিটা থ্যালাসেমিয়া মাইনরে আক্রান্ত, তাদের থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার বা বাহক বলা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এদের শরীরে থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায় না। অনেকে অজান্তেই সারা জীবন এই রোগ বহন করে চলে। কখনো মৃদু রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। অপরটি হলো থ্যালাসেমিয়া মেজর। মা ও বাবা উভয়ই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে শিশুর থ্যালাসেমিয়া মেজরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে শতকরা ২৫ ভাগ। বাহক হওয়ার ঝুঁকি থাকে শতকরা ৫০ ভাগ।

এফএইচ/এসএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।