সুপারিশ বাস্তবায়নে ‘অনীহা’

সিনিয়র সহকারী সচিব মমতাজকে তলবের আদেশ চেম্বারে স্থগিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০০ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২২
ফাইল ছবি

নাটোরের গুরুদাসপুরের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের অপসারণের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব (বর্তমানে ঢাকার এডিসি) মমতাজ বেগমকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই তলবের আদেশ স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বারজজ আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

এর আগে ২৭ অক্টোবর মমতাজ বেগমকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। সুপারিশ বাস্তবায়ন না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় মমতাজ বেগম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা সংক্রান্ত নথি নিয়ে না আসায় তাকে পুনরায় হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ৬ নভেম্বর তাকে নথিপত্রসহ পুনরায় হাজির হতে বলা হয়েছে। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর শুনানি নিয়ে মমতাজ বেগমকে তলবের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার জজ আদালত।

অ্যাডভোকেট মো. আরিফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আনোয়ার হোসেনের চেয়ারম্যান পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ৩০ মে রিট করা হয়।

রিটে অভিযোগ করা হয়, উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ ধারা ৮(২)(জ) লঙ্ঘন করে আনোয়ার হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় নিজনামীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘আনোয়ার টেড্রার্সে’র পক্ষে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। রিটের শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ১ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

এদিকে রিটকারী স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে অপসারণের সুপারিশ করেন নাটোরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. গোলাম রাব্বী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মো. আনোয়ার হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাই তাকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে অপসারণ করা যেতে পারে।

পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মমতাজ বেগম তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে ঠিকাদারি ব্যবসা না করার নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রুল শুনানির জন্য উঠলে রিটের পক্ষের আইনজীবী হলফনামা আকারে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয় আদালতকে অবহিত করেন। শুনানি শেষে আদালত মমতাজ বেগমকে তলব করেছিলেন।

এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।