মানবতাবিরোধী অপরাধ

সাতক্ষীরার দুজনের বিষয়ে শুনানি ১৯ ডিসেম্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৬ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২২
ফাইল ছবি

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরার দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।

আজ রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আনা অভিযোগের বিষয়ে যুক্তিতর্ক শেষ করা হয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর আসামিপক্ষের (ডিফেন্স) যুক্ততর্ক উপস্থাপনের কথা রয়েছে।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে আইনজীবী ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এ মামলার আসামি ছিলেন তিনজন। এদের মধ্যে গ্রেফতার দুজন হলেন আবুল হাসেম সরদার (৭৫) ও মুজিবর রহমান সরদার (৭৬)। হাসেম আশাশুনির চাপড়াগ্রামের তাহের আলী সরদারের ছেলে। আর মুজিবর একই গ্রামের সদর উদ্দিনের ছেলে। রাজাকার কমান্ডার লিয়াকত সরদার আগেই মারা গেছেন।

গত ১৩ মার্চ আশাশুনি উপজেলার গুড়গুড়ি ও চাপড়া এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের ডাকা অধিবেশন ১ মার্চ হঠাৎ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরই প্রতিবাদে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ বেলা ২টা পর্যন্ত সারাদেশে হরতালের ডাক দেওয়া হয়। সাতক্ষীরায় হরতাল পালনকালে ছাত্রজনতা এক হয়ে মিছিল বের করেন।

সাতক্ষীরার পাকাপোল মোড় হয়ে চাপড়ালজ নামের বাড়ির সামনে গেলে মিছিলটির ওপর ওই বাড়ির ছাদ থেকে আবুল হাসেম সরদারসহ তার তিন ভাই গুলি চালান। গুলিতে শহীদ হন রিকশাচালক আবদুর রাজ্জাক। আরও ১৫-১৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে শহরের চিলড্রেন পার্কে শহীদ আবদুর রাজ্জাককে দাফন করা হয়। পাশাপাশি চিলড্রেন পার্কের নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্ক করা হয়।

১৯৭১ সালের জুলাই মাসে আশাশুনির শোভনালি ইউনিয়নের সরাপপুর গ্রামের গোরা ঠাকুর দাশ, মেঘনাথ দাস, কৃষ্ণপদ দাস ও তারাপদ দাসকে চাপড়াগ্রামের মুজিবর রহমান সরদারের নেতৃত্বে বাড়ি থেকে অপহরণ করে ব্যাপক নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় আশাশুনি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন সানা বাদী হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। মামলায় রাজাকার কমান্ডার লিয়াকত সরদার, আবুল হাসেম সরদার ও একই এলাকার মুজিবর রহমান সরদারকে আসামি করা হয়। তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মামলাটি ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।

রাজাকার কমান্ডার লিয়াকত সরদার দুই মাস আগে মারা যাওয়ায় আবুল হাসেম সরদার ও মুজিবর রহমান সরদারের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এফএইচ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।