বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে ফখরুলকে : আদালত


প্রকাশিত: ০৪:৪৭ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিচার বিভাগ নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন তার ব্যাখ্যা জমা দেবেন মঙ্গলবার। একই সঙ্গে নাশকতার তিন মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিনাদেশ চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা আপিলের আদেশ দেয়ার জন্যও মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ সোমবার মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সত্যায়িত(এফিডেভিট) ছাড়াই ব্যাখ্যা দাখিল করেছিলেন। কিন্তু আদালত বলেন, আপনারা বক্তব্য এফিডেভিট করে জমা দেবেন। পরে আপিল বিভাগ মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দেন।

সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে) নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আজ আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা। ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন এসব তথ্য জানান।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার এই দিন ধার্য করেন। গত ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি এ আবেদনটি দায়ের করেন। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম। ওই দিন ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখা দাখিল করতে বলেন আদালত।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের সময় পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে গেলে আপিল বিভাগ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। এবং জামিনের মেয়াদ শেষে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।

এছাড়াও হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন। হাইকোর্ট গত ২৪ নভেম্বর ওই তিন মামলায় রুল নিষ্পত্তি করে মির্জা ফখরুলকে তিন মাসের জামিন দেন।

ফখরুলের আইনজীবী বলেন, রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে সাধারণত মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন হয়। কিন্তু এখানে মাত্র তিন মাসের জামিন দেয়া হয়েছে। এ কারণে হাইকোর্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মির্জা ফখরুল ৭ জানুয়ারি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন।

সোমবার এ আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, বিচার বিভাগের বিষয়ে রাজনীতিবিদদের বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার প্রধান বিচারপতি একটি সভায় বক্তব্য দিয়েছেন। পৃথিবীর সকল দেশে বিচারঙ্গণ নিয়ে কোনো কথা হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে রাতে টকশোতে বিচারাঙ্গন নিয়ে আলোচনা হয়। কথা বলতে হলে আদালতে আসেন। আদালতে কথা বলেন। আমি আদালতে বলেছি, এ বিষয়ে আদালত যেন একটি গাইডলাইন দেন। পরে আদালত ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন।  

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, বিচার বিভাগেরও স্বাধীনতা নেই।

এফএইচ/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।