জামায়াতের নিবন্ধন

আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত না করলে খারিজ হয়ে যাবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধ করা আপিলের বিষয়ে আট সপ্তাহের মধ্যে ফাইল (আপিলের সারসংক্ষেপ) শুনানির জন্য প্রস্তুত না করা হলে তা ডিফল্ট (খারিজ) হয়ে যাবে। রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) জামায়াতের আপিল চূড়ান্ত শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিতে দলটির আইনজীবীকে দুই মাস সময় দেওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জামায়াতের মামলাটি শুনানির জন্য আমরা অনেকবার উদ্যোগ নিয়েছি। আদালত তাদের অনেকবার সময় দিয়েছেন। ওনারা গড়িমসি করে রেডি করছে না। আজকে ফাইনাল আদেশ দিলেন। যদি আট সপ্তাহের মধ্যে ফাইল (আপিলের সারসংক্ষেপ) শুনানির জন্য রেডি না করে তাহলে ডিফল্ট (খারিজ) হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন>>জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে আপিল শুনানি ২ মাস পর

এর আগে এদিন রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধ করা দলটির আপিল চূড়ান্ত শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিতে আইনজীবীকে দুই মাস সময় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। তার সঙ্গে ছিলেন মতিউর রহমান আকন্দ। আর রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

আইনজীবীবীরা বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করতে চূড়ান্তভাবে দুই মাস সময় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আরও পড়ুন>> ভিন্ন নামে নিবন্ধনের আবেদন জামায়াতের! 

জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী মো. মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, মামলাটি শুনানির জন্য আজকে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ছিল। আদালত আগামী দুই মাসের সময় দিয়েছেন। এই দুই মাসের মধ্যে কনসাইজ স্টেটমেন্ট (আপিলের সার সংক্ষেপ) জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আর কোনো সময় দেবেন না বলেও উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, আদালতের আদেশ অনুসারে মামলার শুনানিতে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে। আশা করি জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাবে। আর দুই মাসের মধ্যে প্রস্তুত করতে পারবো। আমাদের প্রধান আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের জারি করা রুলের চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর বেঞ্চ ওই রায় দেন।

আরও পড়ুন>>নতুন নামে জামায়াতের নিবন্ধন, ইসির সিদ্ধান্ত দেখতে চান আইনমন্ত্রী

সংক্ষিপ্ত রায়ে উচ্চ আদালত বলেছিলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত। ওই রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াত আপিল করে।

এর আগে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জারি করা হাইকোর্টের রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। পরে ২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হলে যেকোনো দিন রায় দেবে বলে জানিয়ে অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। পরে ১ আগস্ট রায় দেন উচ্চ আদালত।

এফএইচ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।