সোহেল চৌধুরী হত্যা: ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৬ এএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী

২৫ বছর আগে খুন হওয়া জনপ্রিয় অভিনেতা চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার আগামী ছয়মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ সময় পর্যন্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরীর জামিনও স্থগিত থাকবে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মুজীবুর রহমান সম্রাট এ তথ্য জানান।

এর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন আসামি আশিষ রায় চৌধুরী। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত তা স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।

আরও পড়ুন>> মসজিদের পাশে ক্লাব নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন সোহেল চৌধুরী: র‍্যাব

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রামস ক্লাবের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকি ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। তবে রুল নিষ্পত্তি করে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন আদালত। এতে মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনো বাধা থাকে না। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ওই রায়ের কপি আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি। যার কারণে শুরু হয়নি বিচারও।

আরও পড়ুন: আত্মগোপনে ছিলেন আশিষ চৌধুরী

এদিকে, বিষয়টি অনুসন্ধান শেষে গত বছরের ২৩ জানুয়ারি দৈনিক পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া রাসেল।

তবে জবাব না পেয়ে রিট করেন তিনি। ওই রিটের পর মামলার নথি খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপরই ফাইল চলে যায় বিচারিক আদালতে। শুরু হয় বিচারকাজ। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

এফএইচ/এএএই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।