আদালত অবমাননা : দুই মন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে শুনানি আজ
প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে আদালত অবমাননার অভিযোগে জারি করা রুলের প্রেক্ষিতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন দুই মন্ত্রী। সোমবার খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে আলাদাভাবে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন জমা দেন।
নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি দুই মন্ত্রীর আইনজীবীরা নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ সংক্রান্ত আবেদন করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য মামলাটি আজকের (মঙ্গলবার) কার্যতালিকায় এক নম্বরে রয়েছে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি বজলুর রহমান।
সোমাবর দুপুরের দিকে আবেদন জমা দেয়ার পর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। একটি সম্মেলনে দেশের বাইরে থাকায় মঙ্গলবার আপিল বিভাগে হাজির হতে পারছেন না তিনি। এজন্য ক্ষমা চাওয়ার সঙ্গে সময়ও প্রার্থনা করা হয়েছে।
এদিকে আকম মোজাম্মেল হকের আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক মঙ্গলবার আদালতে হাজির হবেন। তবে বিচারাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করতে রাজি হননি সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক। আর বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, মোজাম্মেল হকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি এলে আমি আদালতে যাবো।
এর আগে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় নিয়ে গত ৫ মার্চ প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন এই দুই মন্ত্রী। এতে ৮ মার্চ আপিল বিভাগ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হককে তলব করেন।
একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার ব্যাখ্যাও জানতে চাওয়া হয়। আজ তাদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।
এফএইচ/বিএ