ফরিদপুরে আজাদের কর্মীদের ওপর হামলা
হাইকোর্টে জামিন মেলেনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক খলিফার
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর জখমের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক খলিফার আগাম জামিন আবেদন নাকচ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুদকার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন।
আদালতে আজ আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সেলিম আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, মোবারক খলিফার আগাম জামিন আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এখন তাকে ফরিদপুর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
গত ২৬ ডিসেম্বর ফরিদপুর পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মোবারক খলিফার নেতৃত্বে শামীম হকের অনুসারীরা নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন মামুদপুর এলাকায় মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও দেশীয় অস্ত্র রামদা, রড ও হকিস্টিক নিয়ে এ কে আজাদের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালান। এসময় তারা আজাদের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করেন। অস্ত্র প্রদর্শন করে আব্দুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ এবং আজাদের আরও পাঁচ সমর্থককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন।
আহতরা বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় পরদিন এ কে আজাদের আহত সমর্থক ঝনকের স্ত্রী পারভীন বেগম কাউন্সিলর মোবারক খলিফাসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩০/৩৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফরিদপুরে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে চরকমলাপুরের বাসিন্দা মোবারক খলিফাসহ অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
এফএইচ/এমকেআর/জেআইএম