গাইবান্ধার ১৭৯ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে রুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ০৬ মে ২০২৪
ফাইল ছবি

গাইবান্ধা জেলায় লাইসেন্সবিহীন ১৭৯টি অবৈধ ইটভাটা কেন উচ্ছেদের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৩ অনুযায়ী ১৭৯টি ইটভাটা উচ্ছেদ করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালযের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালযের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও গাইবান্ধার জেলা প্রসাশকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্টাদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এ বিষয়ে দায়ের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি একেএম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুর রাজ্জাক।

এর আগে গত সপ্তাহে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ জেলার কৃষি ও পরিবেশ রক্ষার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে গাইবান্ধার জেলার অবৈধ ইটভাটার তথ্য ও তালিকা চেয়ে আবেদন করি। এরপর ১৮ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় অফিস এ আইনজীবীকে লিখিত তথ্য সরবরাহ করেন।

সেখানে বলা হয়, গাইবান্ধা জেলার আওতাধীন অবৈধ ইটভাটা রয়েছে ১৭৯টি। এ তথ্য অনুযায়ী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন গত ২ এপ্রিল। আবেদন অনুসারে জেলা প্রসাশক গাইবান্ধাসহ অন্যান্য অফিস আবেদন অনুসারে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি তারপর এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যে সংশ্লিষ্টাদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রিটকারী। তার পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আজ এ আদেশ দেন।

এফএইচ/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।