আপনি কি বনসাই প্রেমী? তাহলে জলদি করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৫ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৫
রাজধানীতে চলমান একমাসব্যাপী জাতীয় বৃক্ষমেলা ও পরিবেশ মেলা ২০২৫ ঘুরে দেখা যায় নানান জাতের বনসাই। ছবি/অধরা মাধুরী

বাসাবাড়ি বা অফিসে ঝোপালো গাছ কেটেছেটে নির্দিষ্ট আকৃতি দিয়ে ডেকোরেশনে ব্যবহার করা এখন সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু ছোট্ট টবের মধ্যে বিশালাকৃতির একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ – চোখে পড়ামাত্রই বোঝা যায়, এটা সাধারণ কোনো গাছ নয়, এটি বনসাই।

রাজধানীতে চলমান একমাসব্যাপী জাতীয় বৃক্ষমেলা ও পরিবেশ মেলা ২০২৫ এর শেষদিন কাল (২৪ জুলাই)। এই মেলাতে দেখা যায় এমন বেশ কিছু বামন বৃক্ষ। শৌখিন বাগানীরা নিজেদের সংগ্রহে রাখার জন্য এসব বনসাই কেনেন। তবে বনসাই সংগ্রহ করতে চাইলে মনে রাখতে হবে যে, গাছের বয়স যত বেশি হবে তার দামও ততো বেশি।

বিজ্ঞাপন

আপনি কি বনসাই প্রেমী? তাহলে জলদি করুন

সবচেয়ে বয়স্ক গাছটি কিনতে গেলে গুণতে হবে ২৭ হাজার টাকা। ছবি/অধরা মাধুরী

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মেলায় ইউনিক নার্সারির স্টল ঘুরে দেখা যায় এমন বেশ কিছু গাছ। সেখানে ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সী জেড প্ল্যান্টসহ আরও কিছু বনসাই চোখে পড়ে। সবচেয়ে বয়স্ক গাছটি কিনতে গেলে গুণতে হবে ২৭ হাজার টাকা। আরও আছে ১১ বছর বয়সী বিশাল ক্যাকটাস, যার দাম ২৫ হাজার টাকা।

জাপানি শব্দ পোনজাই, বানজাই বা বনজাই থেকে ধীরে ধীরে প্রচলন হয় বনসাই। যার বাংলা অর্থ ‘জীবন্ত ভাস্কর্য’।

মেলায় আরেকটি নার্সারিতে চোখে পড়ে ৪০ বছর বয়সী বটগাছের বনসাই। ৪০ বছর ধরে তিলে তিলে তৈরি করা এই জীবন্ত ভাস্কর্যের দাম লেখা রয়েছে তিন লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আপনি কি বনসাই প্রেমী? তাহলে জলদি করুন

৪০ বছর বয়সী বটগাছের বনসাই। ছবি/অধরা মাধুরী

প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠলে বৃক্ষ রূপ নেয় যেসব গাছ, এগুলোকে বিশেষ পদ্ধতিতে বামন করে ছোট টবে বয়স বাড়ানোর নামই বনসাই। এগুলো দেখতে যেমন মোহময়, এর পেছনের পরিশ্রম, যত্ন আর ধৈর্য্যও লাগে তেমন বিস্তর।

বিজ্ঞাপন

যেভাবে তৈরি করা হয় বনসাই -

১. প্রথমে উপযুক্ত গাছ নির্বাচন করতে হয়।

২. এরপর শেকড় কেটে গাছটিকে নির্দিষ্ট গঠন দিয়ে ছোটে একটি টবে বিশেষ মাটিকে লাগানো হয়।

বিজ্ঞাপন

৩. গাছকে কাঙ্ক্ষিত আকারে রাখতে নিয়মিত এর ডাল কাটা হয়।

আপনি কি বনসাই প্রেমী? তাহলে জলদি করুন

বিশেষ পদ্ধতিতে বামন করে ছোট টবে বয়স বাড়ানোর নামই বনসাই। ছবি/অধরা মাধুরী

বিজ্ঞাপন

৪. আঁকাবাঁকা নকশা অনুযায়ী গাছ বাঁকাতে কপার তার ব্যবহার করা হয়।

৫. প্রতি দুই-এক বছরে গাছের টব বদলে দেওয়া হয় ও নতুন করে ছাঁটাই করা হয়।

এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি, ধৈর্য ও যত্নের কাজ। একটি বনসাই পরিপূর্ণভাবে গঠিত হতে পাঁচ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এ কারণেই বনসাইয়ের দামটাও এতো বেশি। কারণ এটি একটি শিল্প, শুধু গাছ নয়।

বিজ্ঞাপন

একটি গাছের পেছনে বছরের পর বছর সময় লাগে। বিশেষজ্ঞের যত্নে গাছের আকৃতি তৈরি হয়। সেই সঙ্গে পুরনো ও দুর্লভ গাছ হলে তার মূল্য আরও বেশি।

আপনি কি বনসাই প্রেমী? তাহলে জলদি করুন

তাই অনেক বনসাই একসঙ্গে দেখতে আর কিছু সংগ্রহ করতে শেষ দিনে ঘুরে আসুন বৃক্ষমেলায়। ছবি/অধরা মাধুরী

বনসাই শুধু ঘরের শোভা বাড়ায় না, এটি একটি জীবন্ত শিল্প, যাকে আপনি সময় দিয়ে গড়ে তোলেন। আপনি যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ধ্যানচর্চার মধ্যে একটি সংযোগ খুঁজে থাকেন, তাহলে বনসাই হতে পারে আপনার ঘরের ছোট্ট কিন্তু গভীর প্রান্ত।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

তাই অনেক বনসাই একসঙ্গে দেখতে আর কিছু সংগ্রহ করতে কালকের দিনটি উদযাপন করতে পারেন মেলায় ঘুরে।

এএমপি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।