জান্নাতুল নাঈমের মায়া এবং অন্য কবিতা

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৪ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪

মায়া

ভালোবাসার খড়কুটো বাড়ি জলে ভেসে গেল
তুমি তীরে দাঁড়িয়ে দেখেছো
আমাকে উদ্ধার করলে না
তোমার চোখ-মুখে হাসি দিয়ে বললে;
আমার ভেসে যাওয়ায় তুমি আনন্দিত
তোমার আনন্দে চোখের জল রেখে বলছি
আমার এই ভেঙে যাওয়া শেষ প্রস্থানের চিহ্ন।

একদিন ভালোবাসার তীব্র অভাবে রিক্ত হবে
সেদিন দেখবে দু’মুঠোতে আমি আছি
আমায় ধরতে এলে আলোর মতো ছুঁতে পারবে না
আলোরা জীবনের সকালেই আসে
আঁধারে আলোরা হারিয়ে যায়।

আমার চির প্রস্থানে তুমি বিপুল আনন্দিত হয়েছো
আজন্মকাল—
আমি তোমার সব দুঃখে ব্যথিত হবো
জেনে রেখো অভিমানে ফিরলেও
চোখের জলে তোমার জন্য মায়া রেখে দেবো।

****

দাবি তুলো না

বহুকাল একাকিত্বের শেকলে বাঁধা পড়ে আছি
নিজেকে নিজেই বেঁধে নিয়েছি
অবহেলায় জল সাঁতরে উঠে নিজেকে বেঁধেছি
তুমি এসে শেকল খোলো না
আমি আবার ভালোবাসি ফেলবো
যা ইচ্ছে হতে দাও
অধিকারের দাবি নিয়ে এসো না
প্রেমিক না হতে পারলে আর কখনো এসো না
বন্ধুত্বের দাবিটুকু তোমার বাড়ির নিকটে
ডাকাতিয়া নদীর জলে ফেলে এসো
যেমন করে প্রত্যাখানে ভালোবাসা ছেড়েছো।

আমাকে একাকিত্বে বন্দি হতে দাও
আর পাশে থাকার কোনো দাবি তুলো না।

****

সন্ন্যাসী

এতটা বৈচিত্র্যময় মানুষ হয়ো না
আমার তোমাকে বুঝতে কষ্ট হয়
মেঘের আকাশ দেখলে বুঝতে পারি কখন বৃষ্টি নামবে
নদীর জল দেখলে বুঝতে পারি কখন আষাঢ় আসবে
গাছের পাতা দেখলে বুঝতে পারি কখন বসন্তকাল
মানুষ দেখলে বুঝতে পারি ভালো কি মন্দ
কেবল তোমাকেই বুঝতে পারি না।

আমার সম্মুখে কারুকার্যের পর্দায় নিজেকে সন্ন্যাসী করেছো
গোটা পৃথিবী চিনেছি—
অথচ তোমাকে চিনতে পারিনি।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।