ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাসে এসে ইবি ছাত্রকে মারধর করলো বহিরাগতরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ০৭ মে ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবারক হোসাইন আশিক নামে এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ওই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বখাটেদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক ছাত্র এ হামলা চালিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।

মোবারক হোসাইন আশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মুশফিকের বাসা বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী এলাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি দোকানে বসে ছিলেন আশিক ও তার বন্ধুরা। এ সময় হঠাৎ মুশফিকুর রহমানসহ ১৫-২০ জন স্থানীয় ছেলে লাঠিসোটা নিয়ে আশিকের ওপর হামলা চালায়। আহত অবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তর করা হয়।

চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মোবারক হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থীকে আহতাবস্থায় এখানে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া স্থানান্তর করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি।

এদিকে মারধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিচার চেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম ও ড. মুর্শিদ আলম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।

এ বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির এক সদস্য বলেন, আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সকাল ১০টায় প্রক্টর অফিসে এসে অভিযোগ দেওয়ার কথা বলি। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন তুলে নেন।

রুমি নোমান/এসজে/এমএস