ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজশাহী-৪

বিএনপির মনোনয়ন চান ৬ জন, ভালো কিছুর প্রত্যাশায় জামায়াত

সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশিত: ০৯:৪৪ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২৫

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে এরইমধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিএনপি ও অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতের তৎপরতায় বর্তমানে এ আসনের রাজনীতি বেশ উত্তপ্ত। এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয়জন। দলটির মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন।

এদিকে এ আসনে বিএনপির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে জামায়াত। দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. আব্দুল বারি সরদার, যিনি চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে জনসমর্থন তৈরি করেছেন। তাকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দেখছে অন্য দলগুলো। এ আসনে ভালো কিছু প্রত্যাশা করছে জামায়াত।

রাজশাহী-৪ আসনটি শুধু বাগমারা উপজেলা নিয়েই গঠিত। যেখানে রয়েছে ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা। এ আসনে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত সরদার আমজাদ হোসেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিজয়ী হন বিএনপির প্রার্থী প্রয়াত আবু হেনা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রকৌশলী এনামুল হক জয়ী হন এবং টানা তিনবার এমপি ছিলেন। ডামি নির্বাচন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ২০২৪ সালের নির্বাচনে এনামুল হকের পরিবর্তে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান আবুল কালাম আজাদ। তিনিও বিজয়ী হন।

রাজশাহী-৪ আসনে এবার বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সংখ্যা হাফ ডজন ছাড়িয়েছে। যারা বিভিন্নভাবে দল ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন- বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আউসপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও আমেরিকা প্রবাসী ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, ড্যাব নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. আশফাকুর রহমান শেলী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর। তাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে মনোনয়নের আশায় মাঠে কাজ করছেন এবং দলের দুঃসময়ে সক্রিয় ভূমিকা পালনের দাবি করছেন। তবে সবার থেকে এগিয়ে জিয়া ও কামাল।

রাজশাহী-৪ আসনে এবার বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সংখ্যা হাফ ডজন ছাড়িয়েছে। যারা বিভিন্নভাবে দল ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন- বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আউসপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও আমেরিকা প্রবাসী ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, ড্যাব নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. আশফাকুর রহমান শেলী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ব্যারিস্টার সালেকুজ্জামান সাগর।

এদিকে জামায়াত প্রার্থী ঘোষণা করে তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করেছেন। তাদের মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. আব্দুল বারি সরদার, যিনি চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে জনসমর্থন তৈরি করেছেন। তাকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দেখছেন অন্য দলগুলো। এছাড়া স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টি অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও তাদের সংগঠনের কর্মকাণ্ড সচল রেখেছে। উপজেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, দলকে সংগঠিত করার কাজ চলছে এবং তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশী।

বিএনপির মনোনয়নপ্রতাশী ডিএম জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের আসনটি একটিমাত্র উপজেলা নিয়েই গঠিত। আমি সেই উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলাম। দলকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও সুসংগঠিত করতে আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করছি। নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে পাশে থেকেছি। আমি দীর্ঘ সময় জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছি।

ডিএম জিয়াউর রহমান আরও বলেন, ‘আমি দলের জন্য জেলে গেছি। মামলা হয়েছে। দুঃসময়ে মানুষ আমাকে পাশে পেয়েছে। আমি একজন শিক্ষক মানুষ। তাই সবকিছু বিবেচনা করে আমারই মনোনয়ন পাওয়া উচিত বলে মনে করছি।’

অধ্যাপক কামাল হোসেন বলেন, দলের চরম দুঃসময়ে আমি সরকারি চাকরি ছেড়ে নেতাকর্মীদের সাহস জুগিয়েছি। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছি। হামলা-মামলার শিকরা হয়েছি। জেলে গেছি। দল যদি বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দেবে। আমি মানুষের পাশে ছিলাম। মানুষও আমাকেই চায়।

এদিকে জামায়াত প্রার্থী ঘোষণা করে তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করেছেন। তাদের মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. আব্দুল বারি সরদার, যিনি চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে জনসমর্থন তৈরি করেছেন। তাকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দেখছেন অন্য দলগুলো। এছাড়া স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টি (জাপা) অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও তাদের সংগঠনের কর্মকাণ্ড সচল রেখেছে। উপজেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, দলকে সংগঠিত করার কাজ চলছে এবং তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশী।

অন্যদিকে এ আসনটিতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য জামায়াতও সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। আবদুল বারী সরদারকে এ আসনে জামায়াত দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ফলে নেতাকর্মীরা দলীয় এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছেন। এরইমধ্যে তারা শুরু করেছেন মাঠের কার্যক্রম।

আবদুল বারী সরদার বলেন, মানুষ গত ১৫ বছরের পুনরাবৃত্তি চায় না। আগে যা কিছু হয়েছে এসব থেকে নতুন কিছু চায়। মানুষ আমাদের ডাকে ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে। আমি বিভিন্ন সময় গণসংযোগও করছি। আশা করছি ভালো কিছু হবে।

রাজশাহী-৪ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫৬২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭১ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন। নতুন ভোটার ৪ হাজার ৩৭৮ জন। এ আসনে সবচেয়ে বেশি ভোটার তরুণরা। মূলত তাদের ভোটেই জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে।

এসএইচ/এসএইচএস/এমএফএ/জেআইএম