মাদরাসার নামে সাহায্য তোলা তিনজনকে চুল কেটে গণপিটুনি
গণপিটুনির শিকার তিন ব্যক্তি
নাটোরের নলডাঙ্গায় মাদরাসার নামে সাহায্য তুলতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন ৩ জন। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বৈদ্যবেলঘড়িয়া কামালের মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিরা হলেন, পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার রাহদ নাগধা পাড়া গ্রামের মৃত আখতার হোসেনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩০), একই গ্রামের মৃত হামজা প্রামানিকের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৩৬) এবং মৃত ফিরোজ হোসেনের ছেলে মো. মামুন হোসেন (২৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের রশিদ এবং ৫ হাজার টাকা জব্দ করে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায় গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিরা সিংড়া চলনবিল আল-জামিয়া মহিলা মাদরাসার নামে রশিদ দিয়ে দোকানে দোকানে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা তুলছিলেন। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করে একটি দোকানের মধ্যে আটকে রাখে। পরে তাদের মাথার চুল কাটে ও মারধর করে। তাদের কাছে থাকা আনুমানিক ৫ হাজার টাকা এবং হাতে থাকা ঘড়ি নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন-
মহেশপুরে সোয়া ৩ কোটি টাকার সোনার বারসহ আটক ২
জোর করে বৃদ্ধের চুল-দাড়ি কেটে দেওয়ার ঘটনায় মামলা
শেরপুরে পারিবারিক কবরে শায়িত হলেন ফায়ার ফাইটার নাঈম
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গণপিটুনির শিকার তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গণপিটুনির শিকার ওই তিনজন মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ওই তিন ব্যক্তি মূলত বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদরাসার হয়ে রশিদের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করেন এবং সেখান থেকে কিছু টাকা কমিশন হিসেবে পান।
রেজাউল করিম রেজা/এফএ/এমএস