ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পৌরসভার ময়লার ভাগাড় নদী

মো. আতিকুর রহমান | ঝালকাঠি | প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঝালকাঠি পৌর এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিদিনের ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান নেই। তাই ময়লা সংগ্রহকারীরা এসব ফেলেছেন সুগন্ধা ও বাসন্ডা নদীতে। এতে জেলার নদী দুটির পানি দূষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে পানি ও পরিবেশে রোগজীবাণু ছড়িয়ে হুমকিতে রয়েছে জলজ প্রাণিসহ জীববৈচিত্র্য।

জানা যায়, শহরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বহমান সুগন্ধা নদী ও পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বয়ে গেছে বাসন্ডা নদী। যুগযুগ ধরে মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এ নদী দুটি এখন দূষণের কবলে। এর মধ্যে সুগন্ধা নদী পরিণত হয়েছে শহরবাসীর ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন পৌরবাসী ও পরিবেশবাদীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লার গাড়ি ভর্তি বর্জ্য প্রতিদিন নদীতে ফেলছেন। এতে মিষ্টি পানির এ নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে রোগজীবাণু। মাছসহ প্রাণীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। হুমকির মুখে পড়েছে জলজপ্রাণিসহ জীববৈচিত্র্য। পৌরসভার দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণেই দূষণ দিনদিন বাড়ছে বলে দাবি পৌরবাসীর।

‘ঝালকাঠি পৌরসভা প্রথম শ্রেণির মর্যাদায় থাকলেও বাস্তবে মনে হচ্ছে কোনো শ্রেণিতেই নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সুরক্ষিত নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন থাকবে না, এটি মানা যায় না। খোদ পৌরসভা কর্তৃপক্ষই নদী দূষণের জন্য দায়ী।’

আরও পড়ুন:

সংযোগ হারিয়ে অচল সাতক্ষীরার নদীপথ
৪০০ বছরের হরিগঞ্জ খাল এখন সরু নালা
জলবায়ু বিপর্যয়ে কখনো পুড়ছে কখনো ডুবছে সিলেট

উন্নয়নকর্মী মাহাবুব হোসেন সৈকত বলেন, নদীতে ছড়িয়ে পড়া প্লাস্টিকসহ অন্যান্য আবর্জনা মাছ খাচ্ছে। আর সেই মাছের মাধ্যমে বিষক্রিয়া ঢুকে পড়ছে মানুষের শরীরে। আগের মতো সুগন্ধার মাছের স্বাদও আর নেই।

ঝালকাঠির নদী-খাল রক্ষা কমিটির সদস্য মু. আল-আমীন বাকলাই বলেন, ঝালকাঠি পৌরসভা প্রথম শ্রেণির মর্যাদায় থাকলেও বাস্তবে মনে হচ্ছে কোনো শ্রেণিতেই নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সুরক্ষিত নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন থাকবে না, এটি মানা যায় না। খোদ পৌরসভা কর্তৃপক্ষই নদী দূষণের জন্য দায়ী।

‘ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই একটি ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’

এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌর প্রশাসক মো. কাওছার হোসেন জানান, ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই একটি ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

ব্রিটিশ আমলে ১৮৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাত্রা শুরু হয়। ১৬.৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস।

মো. আতিকুর রহমান/এমএন/এমএস