ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নোয়াখালীতে সংঘর্ষ

নিহত ৫ জনের মরদেহ হস্তান্তর, এখনো মামলা হয়নি

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ০৭:২০ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় চর দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন নিহতের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। এদিকে ময়নাতদন্তের পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছে বলে শুনেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এরআগে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মেঘনার বুকে জেগে ওঠা জাগলার চর নামে নতুন চরের দখল নিয়ে ভূমিদস্যু সামছুদ্দিন ও আলাউদ্দিন বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়।

এরা হলেন- হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শামছুদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন শিহাব, সুখচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর আমান উল্যাহ গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন, হাতিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লক্ষিদিয়া এলাকার মৃত শাহী আলমের ছেলে হক সাব ও মো. কামাল উদ্দিন এবং সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মজিদ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবুল কাশেম।

আরও পড়ুন:
নোয়াখালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৫

সামছু বাহিনীর প্রধান সামছুদ্দিনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম বলেন, আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মোবারকের মরদেহ পেলেও স্বামী সামছুদ্দিনকে খুঁজে পাচ্ছি না। নিজেদের জমিতে চাষাবাদ করে আমাদের সংসার চলে। ভূমিহীন হিসেবে জমি দেওয়ার কথা বলে তাকে জাগলার চরে নেওয়া হয়। সঙ্গে আমার ছেলেও ছিলো। শুনেছি দুর্বৃত্তরা আমার স্বামীকে মারধর করে গুলি করেছে। এখন আমি আমার স্বামীর খোঁজ এবং ছেলে হত্যার বিচার চাই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেঘনার বুকে জেগে ওঠা জাগলার চরের জমি সরকার এখন পর্যন্ত কাউকে বন্দোবস্ত দেয়নি। চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরে সুখচর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন বাহিনী ও জাহাজমারা ইউনিয়নের সামছু বাহিনীর মধ্যে বিরোধ চলছে। কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এরই জেরে মঙ্গলবার সকালে সংঘাতে জড়ায় দু’পক্ষ। এ সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আহত হয় বেশ কয়েকজন।

ইকবাল হোসেন মজনু/এনএইচআর/জেআইএম