পাহাড়ে অস্ত্রধারীদের পরিণাম ভালো হবে না : হানিফ
পাহাড়ি অস্ত্রধারীদের আলোচনায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
পাহাড়ে অস্ত্রধারীদের পরিণাম ভালো হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, অস্ত্রের সঙ্গে কীভাবে মোকাবেলা করতে হয় তা আওয়ামী লীগের জানা আছে। কাজেই আলোচনায় আসুন।
সোমবার সকালে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনের নাম উল্লেখ না করে হানিফ বলেন, পাহাড়ে আবার অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হয়েছে। তা আমাদের নজরে এসেছে। এখানে নতুন করে অশান্তির পাঁয়তারা চালাচ্ছে অবৈধ অস্ত্রধারীরা। তারা আওয়ামী লীগের বিশেষ করে পাহাড়ি নেতাকর্মীদের অস্ত্রের হুমকিতে আতঙ্কে রেখেছে। এতে আমি ব্যথিত। কারণ আমরা বরাবরই শান্তি চাই।
হানিফ বলেন, বাংলাদেশে কোথাও কোনো সন্ত্রাসী বা জঙ্গিগোষ্ঠীর ঠাঁই নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পন্ন করেছে। কিন্তু যারা চুক্তি করেছে তারা আবার অবৈধ অস্ত্র হাতে নিয়ে ভুল পথে চলছেন। তারা পাহাড়ে অশান্তির সৃষ্টি করছেন। এটা কখনও সুখকর নয়। এটি কখনও মেনে নেয়া হবে না।
তিনি বলেন, কারও কোনো সমস্যা থাকলে অবৈধ অস্ত্র ছেড়ে আলোচনার টেবিলে আসুন। সরকারের দরজা খোলা। তবে অস্ত্রের ভাষা ব্যবহার করবেন না। অস্ত্রের ভাষা কখনও সমস্যা সমাধানের পথ হতে পারে না। কেবল আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
পাহাড়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রাজনীতিতে বাধা দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে অবৈধ অস্ত্রধারীদের উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, ভুল পথে চলবেন না। এরপরও যদি পাহাড়ে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনায় কোনো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সমস্যা হয় তাহলে অস্ত্রধারীদের কীভাবে মোকাবেলা করতে হয় তা আমারে জানা আছে।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহামুদ চৌধুরী এমপি, ফিরোজা বেগম চিনু এমপি, সহ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা প্রমুখ।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/এএম/আইআই