নাসিরনগরের সেই তহশিলদার বরখাস্ত
তহশিলদার আলমগীর মিয়া চৌধুরী/ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের আলোচিত সেই তহশিলদার আলমগীর মিয়া চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার)।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জাগো নিউজকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া শেষে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি ভলাকুট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার আলমগীর মিয়া চৌধুরীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘দৌড়াদৌড়ি যখন করতেন না (করবেন না), কাগজ জমা দিয়া বাইরে জিগান (জিজ্ঞাসা করেন) কত টাকা লাগে। খোলাখুলি কই, আমার কাছে জমা দিলে তো সিস্টেমে হইয়া যায়গা (আমার কাছে জমা দিলে সিস্টেমে হয়ে যাবে)। আমরা একজনকে ১০০, আরেকজনকে ২০০ করে দেই। এসিল্যান্ডও পায়। সরকার আইন করছে কিন্তু স্টাইল এইডা।’
ভিডিওটি ভাইরাল হলে উপজেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় জাগো নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন ওই এলাকার এক ব্যক্তি।
লিখিত অভিযোগ ও ভিডিও ভাইরালের পর ২ মার্চ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় থেকে ওই ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ৩ মার্চ কারণ দর্শানোর লিখিত জবাব দেন অভিযুক্ত আলমগীর মিয়া। লিখিত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ভলাকুট ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর মিয়া চৌধুরীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারী বিধি মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বিধি মোতাবেক তিনি বরখাস্তকালীন খোরপোষ ভাতা পাবেন।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এমআরআর/এএসএম