অতিরিক্ত যাত্রী বহনে ৩ স্পিডবোট চলাচল স্থগিত
স্পিডবোটে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন শত শত মানুষ
অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে তিনটি স্পিডবোট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি তিনদিনের জন্য ও অন্য দুটি একদিনের জন্য চলাচল স্থগিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের নৌ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রতিটি স্পিডবোটে ১২ জন করে যাত্রী ধারণ করতে পারবে। কিন্তু দুপুরে শিমুলিয়াঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে তিনটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ঘাটে যায়। অভিযোগ পেয়ে তিনটি স্পিডবোট চলাচল সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের ৯টি ফেরি ছিল। আশা করছি ১০টি ফেরি দিয়ে সব যাত্রীকে সুন্দরভাবেই পারাপার করতে পারবো। যেহেতু বাস-ট্রাক শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি রুটে পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রাইভেটকার, মাইক্রো এসব গাড়ি পারাপার হবে। যাত্রীরা যদি লঞ্চ ব্যবহার করে এবং ছোট গাড়িগুলো আমরা ফেরিতে পারাপার করি সেক্ষেত্রে ঘরমুখো মানুষকে সুন্দরভাবে পারাপার করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, দিনের বেলা ১০টি ও রাতে সাতটি ফেরি চলাচল করতে পারবে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের মাস্টার আছে, মেরিন বিভাগ আছে, সেনাবাহিনী আছে, বিআইডব্লিউটিএ আছে। সবাই মিলে সোচ্চার আছি। সতর্কতার সঙ্গে ফেরি চালানো হবে। যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে।

শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেইমান, আজ পাঁচটি লঞ্চ ও তিনটি স্পিডবোট বেড়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি দুই নৌরুটে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫ স্পিডবোট সচল রয়েছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/আরএইচ/জেআইএম