চাপ নেই শিমুলিয়ায়
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঘাট এলাকায় কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করে। দুপুরের মধ্যে একবারে ফাঁকা হয়ে যায় ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিগত কয়েকদিন পার্কিং ইয়ার্ডে দিনভর সারি সারি যানবাহন থাকলেও উল্টো চিত্র দেখা যায় আজ দুপুরে। সকালের দিকে কয়েকশ’ যানবাহন ছিল। তবে সকাল ১০টার পর থেকে কমতে শুরু করে চাপ। বেলা ২টার দিকে ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড একেবারেই ব্যক্তিগত গাড়ি শূন্য হয়ে যায়। বর্তমানে যেসব গাড়ি ঘাটে আসছে তারা সহজে ফেরি যোগে নৌপথ পাড়ে দিতে পারছে। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকায় পিকআপ, মিনিট্রাক পারাপার হতে দেখা যায়।

এদিকে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে বেলা ১১টার দিকে ফেরিটি শিমুলিয়াঘাটে এসে বহর যুক্ত হয় রোরো ফেরি এনায়েতপুরী। এতে বর্তমানে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি নৌরুটে বহরে ফেরি সংখ্যা ১০টিতে দাঁড়ালো। দুপুর ১টার দিকে ফেরিটি দিয়ে যানবাহন পারাপার শুরু হয়। এনিয়ে গত তিনদিনে যুক্ত হলো তিনটি ফেরি। এর আগে গত মঙ্গলবার মিনি রোরো ফেরি বেগম রোকেয়া ও বুধবার ছোট ফেরি ফরিদপুর বহরে যুক্ত হয়।

বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের ৯টি ফেরি ছিল। আশা করছি ১০টি ফেরি দিয়ে সব যাত্রীকে সুন্দরভাবেই পারাপার করতে পারবো। যেহেতু বাস-ট্রাক শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি রুটে পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রাইভেটকার, মাইক্রো এসব গাড়ি পারাপার হবে। যাত্রীরা যদি লঞ্চ ব্যবহার করে এবং ছোট গাড়িগুলো আমরা ফেরিতে পারাপার করি সেক্ষেত্রে ঘরমুখো মানুষকে সুন্দরভাবে পারাপার করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, দিনের বেলা ১০টি ও রাতে সাতটি ফেরি চলাচল করতে পারবে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের মাস্টার আছে, মেরিন বিভাগ আছে, সেনাবাহিনী আছে, বিআইডাব্লিউটিএ আছে। সবাই মিলে সোচ্চার আছি। সতর্কতার সঙ্গে ফেরি চালানো হবে। যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে।
শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেইমান, আজ পাঁচটি লঞ্চ ও তিনটি স্পিডবোট বেড়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি দুই নৌরুটে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫ স্পিডবোট সচল রয়েছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/আরএইচ/জেআইএম