ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিএনপির কর্মী শূন্য খুলনার ভোটকেন্দ্র

প্রকাশিত: ০৬:২৬ এএম, ২২ মার্চ ২০১৬

প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের প্রায় ৪ ঘণ্টার বেশি সময় অতিবাহিত হলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে পাওয়া যায়নি ধানের শীষ প্রতীকের কোন এজেন্টকে। অনেক কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারকেও দেখা যায়নি।

বিএনপির অভিযোগ, জেলার প্রায় সব উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা তাদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে নিজেরা ব্যালট কেটে বাক্স ভরছে। এমনকি গত রাতে কয়েকটি কেন্দ্রে আগে থেকেই ব্যালট পেপার নৌকা প্রতীকে সিল দিয়ে বাক্সে ভরে দিয়েছে।

খুলনা জেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করে বলেন, রূপসার উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের অধিকাংশ কেন্দ্রে রাতের আধারে ব্যালট পেপার কেটে নৌকা প্রতীকের সিল মেরে বাক্সে ফেলা হয়েছে। সকালেই এই কেন্দ্রগুলো থেকে বিএনপির প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের মারপিট করে বের করে দেয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।

কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ৪টি কেন্দ্রের এজেন্ট, পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউপি, বটিয়াঘাটা উপজেলার আমিরপুর, বালিয়াডাঙ্গা ও জলমা ইউনিয়নের সব কেন্দ্র আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দখল করে নিয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলার সদর ইউপি, মাগুরাঘোনা, ধামালিয়া, আটলিয়া, খর্ণিয়া ইউপিতে কোন এজেন্টকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এখানে কয়েকজন এজেন্টকে মারপিট করা হয়েছে।

ফুলতলা উপজেলার আটরা গিলাতলা, জামিরা ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা নিজেরাই বিএনপির এজেন্টদের মারধোর করেছে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ভয়ে বিএনপির এজেন্টরা কেন্দ্র থেকে চলে গেছে।

তেরখাদা উপজেলার বারাসাত ইউপির শহীদ আবুল বাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কলাতলা হাড়িখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজুগড়া ইউপির শেখপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রূপসা উপজেলার সব ইউপির কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।

খুলনা জেলা নির্বাচন অফিসার মো. হাবিবুর রহমান জনান, খুলনায় ৯টি উপজেলায় ৩০৬ জন চেয়ারম্যান, ২ হাজার ৬১২ জন সদস্য এবং ৭৭৫ জন সংরক্ষিত (নারী) সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তেরখাদা সদর ইউনিয়নে একজন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিবতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া খুলনায় ৮ জন সদস্যও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তিনি আরও বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খুলনার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ৬৭টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।

আলমগীর হান্নান/এসএস/পিআর